পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সংসদে স্মোক স্ক্যাম কাণ্ডে নিরাপত্তার গাফিলতির প্রশ্ন তুলে মোদি সরকারের বিবৃতি দাবি করলেন বিরোধীরা। সরব হয়েছেন সকলেই।
স্পিকার ওম বিড়লা: “আমি সমস্ত উদ্বেগ বুঝি। আমরা সবাই একসঙ্গে বসে এই নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব। আমরা কীভাবে হাউসে আরও ভালো ব্যবস্থা করতে পারি সে সম্পর্কে আপনাদের পরামর্শগুলি নিয়ে বিবেচনা করব। আমরা দর্শকদের পাস করার সময় আমাদের কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করব। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমাদের দায়িত্ব হল হাউস চালু রাখা।”
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে: আজকের ঘটনা প্রমাণ করে যে প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেওয়া হয়নি। গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। সরকারকে এই ঘটনার উত্তর দিতে হবে। এক্স হ্যান্ডেলে খাড়গে লেখেন, আমরা দাবি করছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উভয় কক্ষে এসে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে হবে। বড় প্রশ্ন নিরাপত্তা বলয়ের ভেতরে কীভাবে দু’জন লোক ঢুকে একটি ক্যানিস্টার থেকে গ্যাস ছড়ালো।’
এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক কে সি ভেনুগোপালঃ সংসদে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করতে হবে। এক্স হ্যান্ডেলে বেনুগোপাল লেখেন, লোকসভায় অনুপ্রবেশ অত্যন্ত উদ্বেগজনক, বিশেষ করে ২০০১ সালের সংসদে হামলার বার্ষিকীতে। আমি স্বস্তিতে যে কারুর বড় কোনও আঘাত বা ক্ষতি হয়নি।
কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম: হঠাৎ করেই দর্শক গ্যালারি থেকে প্রায় ২০ বছরের দুই যুবক হাউসে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাদের হাতে ক্যানিস্টার ছিল। এসব ক্যানিস্টার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। তাদের একজন স্পিকারের চেয়ারের দিকে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তারা কিছু স্লোগান দিচ্ছিল। ধোঁয়া বিষাক্ত হতে পারে। যা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় ফাঁক বলে দাবি করেছেন তিনি।
কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী: এই ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের যতটা সতর্ক হওয়া উচিত ছিল, আমরা ততটা সতর্ক ছিলাম না। আমাদের সাংসদরা অনুপ্রবেশকারীদের ধরেছে… নিরাপত্তাকর্মীরা কোথায় ছিল সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার: হঠাৎ করে দুজন দর্শকাসন থেকে লাফ দিয়ে নামেন। মুখে কিছু বলছিল, কিন্তু আমরা শুনতে পাইনি। হাতে তাদের কিছু ছিল না। জুতোর মধ্যে থেকে বের করে কিছু স্প্রে করে তারা। হলুদ রংয়ের স্প্রে করে তারা। কিছু বিষাক্ত কিছু হতে পারে, জানি না কি। তারা ওই হলুদ রংয়ের স্প্রে বের করে সংসদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয় তারা। পুলিশ পুলিশ বলে আমরা চিৎকার করি। কিন্তু কোনও নিরাপত্তারক্ষী সেই সময় আসেনি, কয়েকজন সাংসদ এগিয়ে এসে তাদের একজনকে ধরে ফেলে। বড়সড় নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়: আমাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। এমপিরা প্রবেশ করলে গেটে শ’য়ে শ’য়ে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে। সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চিত্রটা একই।