নয়াদিল্ল, ১৩ ডিসেম্বর: সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তাঁর মামলাটি দ্রুত তোলার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তবে তৃণমূল এমপির আবেদন নাকচ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউলের এই আবেদন নাকচ করে দেন। দ্রুত শুনানি সম্ভব নয় বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে বলা হয়, মামলাকারী চাইলে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন।
বিচারপতি কাউলের নির্দেশ মেনে এর পরই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে মেনশনিং করেন মহুয়ার আইনজীবী। দু-একদিনের মধ্যেই শুনানির আর্জি জানানো হয় তাঁর তরফে বলে খবর।
যাতে প্রধান বিচারপতি বলেন, “ইমেল মারফত আবেদন করুন। আমরা বিষয়টি দেখছি।”
যে পদ্ধতিতে তৃণমূল সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া। মোট ১৫ পাতার আবেদন তিনি জমা দেন। মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রি। রিপোর্টে সেকথা উল্লেখ করে প্রাক্তন বন্ধু জয়ের উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেন বহিষ্কৃত সাংসদ। ১৫ পাতার রিপোর্টে মহুয়া উল্লেখ করেছেন কিভাবে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে হেনস্তা করা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া এড়িয়ে লোকসভায় স্রেফ সংখ্যাগরিষ্ঠতার গা-জোয়ারিতে তাঁর সাংসদ পদ কাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মহুয়া।