পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : উত্তর-পূর্ব দিল্লির দাঙ্গার সময় এক মুসলিম যুবককে হত্যা এবং তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ দিল্লির একটি আদালত বৃহস্পতিবার পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ গঠন করেছে। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক বিনোদ যাদব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তাদের নাম, লক্ষপত, রাজোরা, ললিত, যোগেশ এবং কুলদীপ।এদের বিরুদ্ধে দুজন ব্যক্তি হত্যা, দাঙ্গা, আগুন দেওয়া,বাড়িতে ডাকাতি,লুঠ এবং অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছ।এরা মহম্মদ আনোয়ার নামে একজনকে ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যা করে। তার ভাই সেলিম কাসার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন,তার ভাইয়ের বাড়ির সব ঘরের দরজা খুলে দাঙ্গাকারীরা জিনিসপত্র লুট করে এবং পরে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।” তিনি আরও বলেন যে, “দাঙ্গাবাজ জনতা তার বড় ভাই মোহাম্মদ আনোয়ারকে বন্দুকের গুলিতে হত্যা করে এবং তার পরে তার দেহ পুড়িয়ে দেয়। জনতা তার ভাইয়ের বাড়ি থেকে ১৭ টি ছাগলও নিয়ে যায়।” আদালত তার আদেশে বলেছে যে এই মামলার অভিযোগকারী সেলিম কাসার তার বড় ভাইকে গুলি করে হত্যা করতে দেখেছে এবং তার বাড়ি দাঙ্গাবাজরা পুড়িয়ে দিয়েছে। তাই তার মর্মাহত হওয়া স্বাভাবিক।যাইহোক, পরে আত্মবিশ্বাস অর্জনের পর, অভিযুক্ত লক্ষপত রাজোরাকেও স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করেছেন তিনি। সেলিম কাসারের বক্তব্য তার পুত্র এবং একজন সাক্ষীর বক্তব্যের সঙ্গে মিলেছে। “
আদালত বলেছে যে এই পর্যায়ে, তাদের বিবৃতিগুলি কেবল সরানো/বাতিল করা যাবে না। যদিও রেকর্ডিংয়ে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আদালত স্বীকার করেছে যে এই মামলায় জনসাধারণের মধ্যে থেকে নেওয়া সাক্ষীদের বিবৃতি লিপিবদ্ধ করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার কারণে এটি খুবই কঠিন ছিল সে সময়।” তদন্তকারী সংস্থাকে অবিলম্বে জনসাধারণের মধ্য থেকে সাক্ষী খুঁজে বের করার জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছে। আদালত আরও বলেছে, “অভিযোগ গঠনের সময়, তদন্ত সংস্থা কর্তৃক সংগৃহীত এফআইআর এবং ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য সময় লেগেছে ঠিকই কিন্তু এগুলি বাতিল করা যাবেনা ।