পুবের কলম প্রতিবেদকঃ পরিস্রুত পানীয় জলের অপচয় রুখতে কলকাতা পুরসভা কাশীপুর এবং পাটুলিতে বসিয়েছে জলের মিটার। দ্রুত কলকাতার বাকি অংশেও এই মিটার বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার। এদিকে, অভিযোগ, জলের এই মিটার চুরি হয়ে যাচ্ছে। একটা দুটো নয়, প্রায় দুশ-তিনশো মিটার নাকি ইতিমধ্যেই লোপাট। অভিযোগ পেয়ে মাথায় হাত পুরসভার।
শনিবার, ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করে এই অভিযোগ জানান, কলকাতা পুরসভার ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের বৈষ্ণবঘাটা পাটুলীর বাসিন্দা জয়দীপ দাস। তিনি জানান, ১১০ এবং ১০১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রাতের অন্ধকারে চুরি হয়ে যাচ্ছে পুরসভার বসিয়ে যাওয়া জলের মিটার। শুধু তাই নয়, অনেকের বাড়িতেই ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে জলের মিটার।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাটুলির ওই এলাকায় ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে প্রায় ৭০০ মিটার। যার মধ্যে চুরি হয়ে গিয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ মিটার। এই সমস্যার কথা জানতে পেরে কলকাতার মেয়র জানান, “আমরা খুব দ্রুত এই বিষয় নিয়ে নিয়ে পদক্ষেপ নেব। এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলচনা করা হবে। মিটারের ডিজাইন পরিবর্তন করা হবে এবং এমনভাবে বসানো হবে যাতে চুরি না হয়। ফেরুল যেমন চুরি হয় না। সেভাবেই এই মিটারকেও মাটির নিচে ওই গভীরতায় বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে যাতে চুরি না হয়। না হলে এভাবে চুরি হলে পুসভার খাজানা খালি হয়ে যাবে।”
একইসঙ্গে, মেয়র এদিন ফের উল্লেখ করেন এই জলের মিটারের সঙ্গে জলের ট্যাক্সের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আর বলেন, “এই মিটার শুধুমাত্র জলের অপচয় রুখতে ব্যবহার করা হচ্ছে কারণ, জলের অপচয় না হলে আমরা শহরের সব জায়গায় জল পৌঁছে দিতে পারব।”
প্রসঙ্গত, পাটুলির কিছু বাসিন্দার মতে বাসিন্দারা নিজেরাই খুলে ফেলছে ওয়াটার মিটার। কিছু বললেও তারা কর্ণপাত করছে না।