পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেই নিয়ে দোলাচলে বিজেপি। আগামী সোমবার বিধানসভায় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। বিজেপির ১৬৩ জন নব-নির্বাচিত বিধায়ক কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে তাদের নেতা নির্বাচন করবেন। বিজেপি শুক্রবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার, তার ওবিসি ‘মোর্চা’ প্রধান কে লক্ষ্মণ এবং সেক্রেটারি আশা লাকড়াকে মধ্যপ্রদেশে তার আইনসভা দলের নেতা নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করেছে।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের রেজাল্ট বের হয়েছে গত ৩ ডিসেম্বর। বিপুল সমর্থন নিয়ে ২৩০ টি আসনের মধ্যে ১৬৩টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। তবে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসছেন তা এখনও নিশ্চিত করেনি বিজেপি। এতদিন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে ছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। তাঁকেই কি ফের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসাবে বিজেপি, নাকি পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া! এই অবস্থায় লোধী সম্প্রদায়ের প্রহ্লাদ প্যাটেল নামও শোনা গেছে। যিনি নরসিংহপুর বিধানসভা আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
সাংসদ, বিজেপি মিডিয়া সেলের প্রধান আশিস আগরওয়াল জানান, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা সোমবার দলীয় বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন। বৈঠকের সময়সূচি চূড়ান্ত হলে তা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে সোমবার বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭-টার মধ্যে এই বৈঠক হতে পারে।
গত ১৯ বছরে এই তৃতীয়বার মধ্যপ্রদেশে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে বিজেপি। গত ২০০৪-এ যখন উমা ভারতী মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন, তখন দলের উর্ধতন নেতা প্রমোদ মহাজন ও অরুণ জেটলিকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠানো হয়েছিল।
২০০৫ সালের নভেম্বরে, যখন বাবুলাল গৌড় রাজ্যের শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন তখন রাজনাথ সিংকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসাবে পাঠানো হয়। সেই সময় শিবরাজ সিং চৌহান বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য, বিপুল ক্ষমতা নিয়ে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। কিন্তু বিজেপির মতো একটি দলের পক্ষে এখনও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে টালবাহানা চলছে। গেরুয়া শিবিরের মধ্যে যে দলীয় কোন্দল দেখা দিয়েছে, তা বহু আগে থেকেই স্পষ্ট। সে কোন্দল মেটাতে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকও পাঠাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। এই কোন্দলের প্রভাব যেন কোনওভাবেই লোকসভা ভোটে প্রভাব ফেলতে না পারে তা নিয়ে অতি সতর্ক বিজেপি।