পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ উগ্রবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে আবারও সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়া সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)সামিটে ভার্চুয়ালভাবে হাজির থেকে এসসিও-কে একটি টেমপ্লেট প্রস্তুত করতে আহ্বান করেছেন এই উগ্রবাদ ও মৌলবাদকে আরও কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য। মোদি বলেন– এসসিওর কুড়িতম বর্ষপূর্তিই এই সংগঠনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার যথার্থ সময়। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সমস্যা নিরাপত্তা ও বিশ্বাসের অভাব এবং শান্তি বজায় রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। এই সব সমস্যার মূল কারণ নিহিত রয়েছে ক্রমবর্ধমান মৌলবাদের মধ্যে। সম্প্রতি আফগানিস্তানের অবস্থা মৌলবাদের বিপদকে আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে একটি সম্মিলিত টেমপ্লেট তৈরি করা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের নতুন সদস্য হয়েছে ইরান। মতামত আদানপ্রদানের সহযোগী হয়েছে নতুন তিন দেশ সৌদি আরব– মিশর ও কাতার। মোদি তাঁর ভাষণ শুরু করেন এই চার দেশকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়ে। মধ্য এশিয়ার সঙ্গে আরও যোগাযোগ বাড়াতে ভারত দায়বদ্ধ বলে জানিয়ে মোদি জানান– সমস্ত দেশের ভৌগোলিক ঐক্যের প্রতি সবার শ্রদ্ধা থাকা উচিত। ভূবেষ্টিত মধ্য এশিয়ার দেশগুলি ভারতের বিপুল বাজারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে ব্যাপক মুনাফা করতে পারে। কোনও যোগাযোগ একতরফা হয় না আর তাই পারস্পরিক বিশ্বাসকে নিশ্চিত করতে সংযোগমূলক প্রকল্প হওয়া উচিত স্বচ্ছ– আলোচনাসাপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। এমনটাই বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রযুক্তির দিক দিয়ে ভারত এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত এবং এই বিষয়ে তিনি বলেন যে– ‘বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী চিন্তার প্রতি প্রতিভাধর তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে হবে আমাদের।’ সমস্ত স্টার্টআপ ও এন্ট্রাপ্রিনিওরগুলিকে একই ছাতার তলায় নিয়ে আসার কথা বলেন তিনি। এ দিকে– কেন্দ্রীয় পররাষ্টÉ বিষয়ক মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শুক্রবার সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে ‘ফলপ্রসূ আলোচনা’ করেন রাশিয়ার পররাষ্টÉমন্ত্রী সেরজেই লাভরভের সঙ্গে। আফগানিস্তান ও ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয় নিয়ে তাঁদের আলোচনা হয়।