আবদুল ওদুদ: সাত দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । উত্তরবঙ্গ রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। গত ২৩ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দিল্লিতে ধরনার কথা বলেছিলেন। ১০০ দিনের কাজ, মিড ডে মিল, আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পে কয়েক হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে । বার বার কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েওসেই টাকা মেলেনি।
শেষ পর্যন্ত ৩০ অক্টোবর দিল্লিতে আন্দোলন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সাংসদ বিধায়করা। তবুও টাকা মেলিনি। এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন দিল্লি তে দরবার করবেন। উত্তরবঙ্গ সফরের আগে তিনি জানিয়ে গেলেন দিল্লি পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে, দিল্লি পুলিশ যদি অনুমতি দেয় তাহলে ফের আরও একবার দিল্লিতে ধরনা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হবে। না দিলে রাস্তায় বসে আবার আন্দোলন।
বিমানববন্দরের বাইরে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁর পারিবারিক অনুষ্ঠান রয়েছে কাশিয়াং-এ। কিন্তু তিনি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন না, তার ভাইপো আবেশ পাহাড়ি মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন, তাদের আশীর্বাদ করবেন । এরপর কার্শিয়াং, কালিমপং ,মিরিকে অনুষ্ঠান আছে। ৯ডিসেম্বর হাসিমারা যাবেন । সেখানে সরকারি কিছু কর্মসূচি রয়েছে । এরপর ১০ ডিসেম্বর আলিপুরদুয়ার। আলিপুরদুয়ার থেকে ১১ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ির বানারহাটে । ওই দিনই উত্তর কন্যায় ফিরে আসবেন। শিলিগুড়িতে মাটিগাড়াতে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ১২ ডিসেম্বর কলকাতা ফিরবেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন গত মঙ্গলবার রাজ্যে চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা হয়েছে। বলিউড, হলিউড এবং টলিউড এর অভিনেতাদের মহামিলনে শুরু হয়েছে এই উৎসব।
‘চোর ’ বিতর্ক নিয়ে ফের সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, যারা নিজেরা পকেটমার তারাই পকেটমার পকেটমার বলে চেঁচায়। উত্তরবঙ্গ সফরের আগে কলকাতা বিমানবন্দরে এভাবেই বিরোধীদের চোর চোর স্লোগানের পাল্টা জবাব দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন উত্তরবঙ্গে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী কে চোর চোর স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, যারা পকেটমার তারাই বেশি পকেটমার পকেটমার করে চিৎকার করে। দেশের মানুষের পকেট সবচেয়ে বেশি কেটেছে ওরা। ১৫ লাখ টাকা দেওয়া থেকে শুরু করে কোভিডের সময় ফ্রি রেশন। অনেক কিছুই তো দেব বলেছিল? দিয়েছে? আপনারাই বলুন না? ১৫ লাখ টাকা করে কী কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। কোভিডের সময় থেকে সাধারন মানুষের যে পকেটকাটা শুরু হয়েছে সেটা কী থেমেছে? সব কিছুই তো জনগণেরই পকেট কেটে হচ্ছে। যারা পকেটমার তাঁরাই রাস্তায় পকেটমার পকেটমার বলে চেঁচায়।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় সেটা রাখার চেষ্টা। ওরা ভাওতা দেয়। নির্বাচনের সময় এক কথা বলে। নির্বাচন চলে গেলে আর এক কথা বলে। সেদিন একের পর এক কেন্দ্রীয় টিম পাঠানোর নিয়েও সরব হয়েছেন মমতা। তিনি বলেন,ইতিমধ্যেই তারা একাধিক টিম পাঠিয়েছে। তাদের টিল পাঠাতে দিন। এদের আসল লক্ষ্য বিজেপিকে অক্সিজেন দেওয়া। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দেখতে ১০৭টি টিম বাংলায় এসেছে। কী পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রশ্ন তোলেন উত্তর প্রদেশে যোগী রাজ্যে জব কার্ড নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে , ওই রাজ্যের টাকা কী বন্ধ করেছে মোদি সরকার।