পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গরুর মাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারের কয়েক ঘন্টায় থানার মধ্যে এক ব্যক্তির মৃত্যুর হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের পঞ্চমহল জেলায়। জানা গেছে, ৩২ বছর বয়সী কাশিম আব্দুল্লাহ হায়াত নামে এক ব্যক্তির থানার লক-আপের মধ্যে মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। তাকে গরুর মাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তকে এখনও ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়নি। একই সঙ্গে নিহতের পরিবার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। গোধরা বি ডিভিশন থানার এক পুলিশ জানান, ১৫ সেপ্টেম্বর পুলিশ একটি খবর পায় যে, কাশিম সেবালিয়া থেকে গোধরায় একটি দুই চাকার গাড়িতে করে গরুর মাংস নিয়ে যাচ্ছিল। অন্যদিকে পাঁচজন মহিলার নামেও মামলা দায়ের করা হয়েছে, যাদের কাছে তিনি গরুর মাংস পৌঁছে দেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪২৯ (গবাদি পশু হত্যা বা অপব্যবহার), ধারা ১১ (প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করা) প্রিভেনশন অব ক্রুয়ালিটি টু অ্যানিমলস অ্যাক্ট, ১৯৬০ এবং গুজরাট এনিমেল প্রিজারভেশন (সংশোধন) আইন ২০১৭ মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ভারতীয় জনতা পার্টি-শাসিত রাজ্য গুজরাটে দেশের অন্যতম কঠোর গো-হত্যা আইন রয়েছে। গুজরাট পশু সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১৭ এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেতে পারেন। অন্যদিকে পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে কাশিমের মৃত্যু থানার লকআপের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। তবে এক্সপ্রেস জানিয়েছে যে, কাশিম পুলিশকে বলেছিলেন তিনি গরুর মাংস নয়, মাংস বহন করছেন, কিন্তু পুলিশের বয়ান অনুযায়ী কাশিম পুলিশকে বলেছিলেন যে তিনি কয়েক দিন আগে গরুর মাংস নিয়ে যান।