পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: অবশেষে দীর্ঘ ১৭ দিনের প্রতীক্ষার অবসান! অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবারও সারা পৃথিবীর নজর ছিল উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গের উপর। আর এদিনই সব প্রচেষ্টার অবসান ঘটিয়ে নবজীবন লাভ করলেন সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিক। আর জীবন-মরণের এই লড়াইয়ে সামিল ছিলেন বাংলার তিন শ্রমিকও। অন্ধকার থেকে আলোর মাঝে ফিরতে পেরে স্বভাবতই চোখে-মুখে স্বস্তির ছাপ হুগলির সৌভিক পাখিরা, জয়দেব প্রামাণিক ও কোচবিহারের মানিক তালুকদারের।
বাকিদের মতো রুটি-রুজির টানে হুগলির পুরশুনা থানার হরিণাখালি ও নিমডিঙি এলাকা থেকে যথাক্রমে পেটের টানে ছুটেছিলেন সৌভিক ও জয়দেব। ঠিক একইভাবে কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বলরামপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্ন্তগত চেকাডরা গেরগেন্দারপাড় গ্রাম থেকে দুপয়সা বেশি রোজগারের আশায় উত্তরপ্রদেশে কাজে গিয়েছিলেন মানিক তালুকদারও।
মঙ্গলবার রাত ৭:৪৯ মিনিট থেকে অভিযান শুরু হয়ে শেষ হয় ৮:৩৮ মিনিটে। অবসান হয় পরিবার-পরিজনেদের চাপা উত্তেজনাও। সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকরা বেরিয়ে আসতেই শঙ্খধ্বনি ও আর ওপরওয়ালার স্মরণের মধ্যে দিয়ে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকা। একে একে বেরিয়ে আসা শ্রমিকদের পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। গুরুত্বপূর্ণ এই মাহেন্দ্রক্ষণের মধ্যে দিয়ে সমস্ত উৎকন্ঠার অবসান ঘটিয়ে এবার ঘরে ফেলার পালা!