পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দেশ থেকে ঘৃণা ও বিদ্বেষ দূর করা এবং বিজেপিকে পরাজিত করে কেন্দ্র থেকে মোদিকে হঠানো আমার প্রধান লক্ষ্য। হায়দরাবাদের নামপল্লীতে মঙ্গলবার প্রচারের ছিলেন রাহুল গান্ধি। সেখান থেকে তিনি ফের আরএসএস এবং মোদির বিরুদ্ধে আক্রমন শানান। রাহুল বলেন, ওরা দেশে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এদিন ফের মহব্বতের কথা শোনা যায় রাহুলের গলায়। ভারত জোড় যাত্রার সময় রাহুল নফরতের বাজারের মহব্বতের দোকান খোলার কথা বলেছিলেন। এদিনও সেই বার্তায় দেন তিনি।
রাহুল বলেন, তিনি যেহেতু মোদির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই চালান, তাই তাঁর বিরুদ্ধে মোট ২৪ টি মামলা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালত আমাকে সমন করেছে। কিন্তু আমি আমার লক্ষ্য থেকে সরব না। কোনও শক্তি আমাকে সরাতে পারবে না। আমার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা হয়েছে। দুই বছরের জন্য আমাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। আমার লোকসভার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছিল। আমার সরকারি বাড়ি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলাম, আমার ওসব দরকার নেই, বলেছিলাম আমার বাড়ি রয়েছে কোটি কোটি দরিদ্র মানুষের হৃদয়ে।
২০১৮ সালে অমিত শাহের বিরুদ্ধে একটি মন্তব্যের জন্য রাহুলের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে ইউপির এমপি-এমএলএ আদালত। তবে রাহুল এদিনের প্রচারে নির্দিষ্ট করে কোনও আদালতের কথা আলাদা করে উল্লেখ করেননি। কেসিআর এবং এমআইএমকেও এদিন রাহুল একহাত নেন। তিনি বলেন, এই কেসিআরের দল মোদি সরকারকে সমর্থন করেছিল। এখন তারা বিজেপির বিরুদ্ধে নানা কথা বলছে। মোদি নিজেও বলেছেন, কেসিআর বিজেপির সঙ্গে ফের বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু আমি তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছি। রাহুলের বক্তব্য, এটা তাঁর আদর্শগত লড়াই। তাঁর লক্ষ্য বিদ্বেষমুক্ত ভারত।
রাহুলের অভিযোগ বিআরএস এবং এমআইএম বরাবর মোদি সরকারের হাতকে মজবুত করেছে। কংগ্রেসের ভোট কাটা ছাড়া মিমের আর কোনও কাজ নেই। নিজের উদাহরণ দিয়ে রাহুল বলেন, তাঁর এবং তাঁর মত বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি কিংবা সিবিআই তদন্ত করে। তাদের দমানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মিমের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই সহ কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করে না। বিজেপির সঙ্গে তাদের দলের আলাদা কি রসায়ন আছে ভরা প্রচার সভায় প্রশ্ন রাহুলের। তিনি বলেন কেবল মিম নয়, বিআরএসের বিরুদ্ধেও ইডি-সিবিআই কিংবা আইটিকে তদন্ত করতে দেখা যায় না।