পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তরকাশীতে ঠাণ্ডার পারদ চড়ছে, সেই সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেই বিরুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলা করেই চলেছে টানেল বিপর্যয় উদ্ধারকাজ। ইতিমধ্যে পারদ ৪ ডিগ্রি নেমেছে। ঘটনার পর থেকে আজ ১৬ দিন। এখনও পর্যন্ত ৪১ জন শ্রমিকের উদ্ধারে কোনও আশার আলো দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া দফতর ৪০০০ মিটার উচ্চতায় বরফ পড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। উদ্ধারকারী দলের কাছে এই পরিস্থিতি অনেকটাই চ্যালেঞ্জের। সোমবার সকাল থেকে পাহাড় কেটে উল্লম্ব খনন কাজ চলছে। আর ৮৬ মিটার রাস্তা খনন করলেই পৌঁছনো যাবে শ্রমিকদের কাছে। এর মধ্যে ২০ মিটার খননকাজ হয়ে গেছে।
গত ১২ নভেম্বর থেকে ৪.৫ কিলোমিটার (৩ মাইল) টানেলে আটকে পড়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। এই নিয়ে আজ ১৬ দিন, ৩৬০ ঘণ্টা আটকে আছে শ্রমিকরা। তাদের অক্সিজেন, পানীয় জল, খাবার পাঠানো হচ্ছে। নিয়মিত তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে উদ্ধার কবে হবে, সেই নিয়ে কোনও আশার আলো দেখাতে পারেনি কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে ভেঙে পড়েছে অগার মেশিন।
এনএইচআইডিসিএল কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাহমুদ আহমেদ বার্তা জানিয়েছেন, ” উদ্ধারকারিরা যে কোনও পরিস্থিতিতে কাজ করার জন্য প্রশিক্ষিত হয, তাই এটি আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়। উল্লম্ব খনন শুরু হয়েছে, আশা করি বৃহস্পতিবারের মধ্যে শেষ হবে। আশা রাখি আর কোনও বাধা আসবে না।’
মাইক্রো টানেলিং বিশেষজ্ঞ ক্রিস কুপার জানিয়েছেন, অগার মেশিন থেকে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করা হয়েছে, কয়েক ঘন্টার মধ্যে ম্যানুয়াল ড্রিলিং শুরু হবে। আমাদের হাতে ৯মিটার টানেলিং করতে হবে। এটা সত্যিই নির্ভর করে কিভাবে মাটি আচরণ করে। দ্রুত হতে পারে, একটু দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। সেনাবাহিনী অভিযান তদারকি করছে । ৩০ মিটার উল্লম্ব ড্রিলিং করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তরকাশীর সঙ্গে যমুনেত্রীকে জুড়তেই সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছিল। সেই সুড়ঙ্গেই ধস নেমেছে। সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গ খনন করে যে মাটি-পাথর বের করা হচ্ছিল, তা পাশেই স্তূপ করে রাখা হচ্ছিল। সেই স্তূপ কার্যত পাহাড়ে পরিণত হয়েছে। হঠাৎ ভারী বৃষ্টি নামলে ওই ধ্বংসস্তূপের পাহাড়ে ধস নামতে পারে। আসতে পারে হড়পা বানও। ফলে শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।