নয়াদিল্লি, ২৬ নভেম্বর: চিনে বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার ঘটনা। শিশুদের মধ্যে এই অসুখ বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোভিডের পর আরও এক সংক্রমণে চিন্তায় সাধারণ মানুষ। ভারতেও এই সংক্রমণের আশঙ্কা ছড়িয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত রাজ্যগুলিকে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করার কথাও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্যগুলিকে অবিলম্বে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। ‘কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে সংশোধিত নজরদারি কৌশলের জন্য অপারেশনাল নির্দেশিকা’ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। আইএলআই/এসআরআই-এর প্রবণতাগুলি নিয়ে জেলা এবং রাজ্য নজরদারি এবং পর্যবেক্ষণ করবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, শীতকালীন ঋতু পরিবর্তন এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) এবং SARS-CoV-2 সহ পরিচিত রোগজীবাণুর প্রসারের জন্য অসুস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকও পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ নভেম্বর চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার সংখ্যা বৃদ্ধির কথা জানায়। এগুলির বেশিরভাগই শিশুদের মধ্যেই দেখা গিয়েছে। বর্তমানে এই রোগ মূলত রাজধানী বেজিংয়েই বাড়ছে। তবে উত্তর-পূর্ব লিয়াওনিং প্রদেশ এবং চিনের অন্যান্য অঞ্চলেও দেখা দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই রোগের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি ছাড়াই ফুসফুসের প্রদাহ এবং ফুসফুসের নোডুলস। এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর রিপোর্ট মেলেনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে মহামারীর ভয়ানক স্মৃতিই ফিরে আসছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা ‘চিন থেকে একটি নতুন ভাইরাস আসছে’ বা ‘নতুন কোভিড’ বলে জল্পনা শুরু করে দিয়েছেন।