পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: রাহুল গান্ধি প্রধানমন্ত্রীকে বিলো দ্য বেল্ট আঘাত করেছেন। এর জবাব দেবে সাধারণ মানুষ। তেলেঙ্গনায় ভোট প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন রাহুল যখনই মোদিজিকে আক্রমণ করে এই ধরণের মন্তব্য করেছেন, মানুষ তখনই তার জবাব দিয়েছে। এবারও মানুষ তার জবাব দেবে।
রাজস্থানে ভোট প্রচারে গিয়ে রাহুল মোদিকে ‘পনৌতি’ অর্থাৎ ‘অপয়া’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তাতেই গেরুয়া শিবির বেজায় চটেছে। অনেকের মতে তারা চটে যাওয়ার থেকেও বেশি ভুগছে আতঙ্কে।
ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল ছাড়া বাকি সব ম্যাচে ভারতের পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। অথচ ফাইনালে তার উল্টোটাই দেখেছে গোটা দেশ। সেদিন গ্যালারিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সে কথা প্রচারে মনে করিয়ে দেন রাহুল। এখনও এদেশে ‘পয়া’ এবং ‘অপয়া’ শধের বহুল প্রচলন রয়েছে। কোনও যুক্তি নেই জেনেও বহু মানুষ আজও তা বিশ্বাস করে। বিজেপির লোকজনের আতঙ্ক হল, রাহুলের এই কথা যদি জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করে দেয়, তাহলে মহাবিপদ। এর আগে চন্দ্রযান ২ এর সময়ও একই কাণ্ড হয়েছিল। কান্নার জন্য নিজের কাঁধ ইসরো চেয়ারম্যান শিবানকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মোদি। সেবার তিনি স্বচক্ষে দেখতে চেয়েছিলেন চন্দ্রযান টু-এর সাফল্য। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু চন্দ্রযান ৩-এর বেলায় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তিনি যেভাবে শিবানকে বুকে টেনে নিয়ে সান্তনা দিয়েছিলেন, ক্রিকেটের ফাইনালের ভারতের পরাজয়ের দিন মুহাম্মদ শামিকে বুকে টেনে একইভাবে স্বান্তনা দিয়েছেন মোদি। দুই ছবির কোলাজ করে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়েছে ব্যাপকভাবে।
কেবল রাহুল গান্ধি নয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, ‘পাপিষ্ঠরা যেতেই বিশ্বকাপে ভারতের পরাজয় হল। তিনি আরও বলেন, ‘পাপিষ্ঠরা যেখানে যাবে সেখানেই ঝামেলা। পাপে কখনও বাপেরেও ছাড়ে না। এত ভীতুর দল দেখিনি। ভারত ১০টা ম্যাচে ভাল ভাবে জিতল। কিন্তু ফাইলানে হেরে গেল। পাপিষ্ঠরা যেখানে গেল সেখানেই হারল।’ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন রাহুল গান্ধির এই মন্তব্যকে অত্যন্ত জঘন্য বলে মন্তব্য করেছেন।