কানপুর: মসজিদ ও মাদ্রাসার জমিতে শিবলিঙ্গ পুঁতে দেওয়া নিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কানপুরের ঘতমপুরে। এই জমি ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডে নথিভুক্ত। এই মসজিদ কমিটির সদস্য জুনায়েদ আহমেদ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সার্ভে ওয়াকফ আয়ুক্তে অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, এই এলাকার কাউন্সিলর জিতেন্দ্র সিং যাদব ইমারত দ্রব্য নিয়ে আসেন এবং একটি মঞ্চ তৈরি করে মসজিদের জমিতেই শিবলিঙ্গ পুঁতে দেন। ৩০ আগস্টের মধ্যরাতে সবাই যখন জন্মাষ্টমী উদযাপনে মেতে ছিল তখন এই ‘অপকর্ম’টি করা হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয় ৩১ জুলাই। জুনায়েদ জানিয়েছেন, মসজিদের জমি দখল করতে চাইছেন কাউন্সিলর জিতেন্দ্র সিং। ঘতমপুর পুরসভার আধিকারিক ও কানপুরের ডিএমের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি এবং ওই জমিতে মন্দির নির্মাণের প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করেছেন। অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হোক ও এই ইমারত সরিয়ে ফেলা হোক এমনটাই দাবি করেছেন জুনায়েদ।
কানপুর শহরের কাজী আবদুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, ওই মসজিদের নাম মসজিদ-এ-আরকাম। মসজিদের সংলগ্ন জমিও মুসলিমদেরই সম্পত্তি। এই জমিতে একটি মাদ্রাসা তৈরির পরিল্পনা করেছিলেন স্থানীয়রা। ফজরের নামাজ পড়ার পর স্থানীয় মুসলিমরা খেয়াল করেন ওই বেআইনি ইমারত এবং তারপর অভিযোগ জানাতে স্থানীয় থানায় যান তাঁরা। যারা এমনটা করেছে তাদের নিন্দা করে ওই ইমারত সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেয় পুলিশ। যদিও পরে নিজেদের অবস্থান বদল করে পুলিশ এবং বলে যে, এই জমি নিয়ে তদন্তের পর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আবদুল কুদ্দুস আরও জানান, এই মসজিদ ও জমি সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র তিনি পরীক্ষা করে দেখেন সমস্ত কাগজই অথেনটিক। স্থানীয়দের নিয়ে তিনি কানপুরের এডিজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বিষয়টি দেখার জন্য এসডিএমকে নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, এসডিএম তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। কানপুরের সাম্প্রদায়িক শক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে জানান কুদ্দুস। মসজিদ, মাদ্রাসা ও গোরস্থানকে নিশানা করা হচ্ছে।