পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে মোক্ষম ধাক্কা খেল যোগগুরু রামদেবের পতঞ্জলি। এদিন শীর্ষ কোর্টে বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ ও বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশরের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারবে না পতঞ্জলি। যদি আগামী দিনে এমন বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয় তাহলে বড়সড় জরিমানার মুখে পড়বে পতঞ্জলি। বিজ্ঞাপন পিছু ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে তাদের । মেডিক্যাল ক্ষেত্রে ভুয়ো বিজ্ঞাপন বন্ধ করা নিয়ে কেন্দ্রের প্রস্তাবও জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আধুনিক ওষুধ ও চিকিৎসা পদ্ধতির বিরোধিতা করে বিজ্ঞাপন তৈরির অভিযোগ রয়েছে যোগগুরু রামদেবের মালিকানাধীন সংস্থার বিরুদ্ধে। সেই মামলার শুনানিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
পতঞ্জলির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ বলেন, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদকে সমস্ত ধরণের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আদালত এই ধরনের নির্দেশ লঙ্ঘনকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে। যদি তারা কোনো বিশেষ অসুখ সম্পূর্ণ নির্মূল করার মিথ্যা দাবি করে তাহলে তাদের তৈরী প্রতিটি পণ্যের বিজ্ঞাপনের ওপর ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। শুনানিতে বেঞ্চ বলে, তারা ভবিষ্যতে এই জাতীয় কোনো বিজ্ঞাপন প্রকাশ করবে না, একথাও পতঞ্জলিকে নিশ্চিত করতে হবে।
আধুনিক ওষুধের বিরোধিতা করে ভুল তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করছে পতঞ্জলি, এই মর্মে মামলা দায়ের করে আইএমএ। শুনানি চলাকালীন ডিভিশন বলে অযথা এলোপ্যাথি বনাম আয়ুর্বেদ বিতর্ক যেন উস্কে তোলা না হয়। যদি এই দু’য়ের মধ্যেও কোনো সমস্যা থেকেও থাকে তাহলে তা মিটিয়ে নিতে হবে।
রামদেবের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা ঝুলছে সুপ্রিম কোর্টে। কোভিড অতিমারীর সময়ে করোনার চিকিৎসায় অ্যালোপ্যাথির ব্যবহার নিয়ে একাধিক নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন যোগগুরু। চিকিৎসকদেরও তোপ দাগেন তিনি। তার পরেই একাধিক রাজ্যে এফআইআর দায়ের করে আইএমএফ। সমস্ত অভিযোগের তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন যোগগুরু।