পারিজাত মোল্লা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে উঠে সিপিএমের দাখিল করা জয়নগর এলাকায় যাওয়া বিষয়ক মামলা। জয়নগরে ত্রাণ নিয়ে ঢুকতে পারবে সিপিএম। এদিন অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দলুইখাকি গ্রামে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য সিপিএম-এর পক্ষ থেকে সোমবার মামলা দায়ের করেন বাম নেতা তথা আইনজীবী সায়ন চক্রবর্তী। পুলিশের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ করে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতেই এবার হাইকোর্ট অনুমতি দিল।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বলেন, “জয়নগরে ত্রান নিয়ে যেতে অনুমতি সিপিআইএমকে। সিপিএমের ৫ জন প্রতিনিধি স্থানীয় থানার ৪ পুলিশ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ৩০ ভুক্তভোগী পরিবারে ত্রাণ পৌঁছাতে যাবেন। ত্রাণ পৌঁছাতে গিয়ে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করা যাবে না।কোনও স্লোগান, ফ্ল্যাগ টাঙানো যাবে না।”জয়নগরের দলুইখাকি গ্রামে যেতে পারবেন সিপিআইএম নেতা সায়ন বন্দোপাধ্যায়। মোট ৫ জন নিয়ে ত্রাণ দেওয়ার জন্য গ্রামে যেতে পারবেন সায়ন। হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য ছাড়াই গ্রামে যেতে পারবেন সায়ন।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, “কোনও সভা করা যাবে না। যাওয়ার আগে জয়নগর থানাকে জানাতে হবে। ত্রাণ দেওয়ার সময় পুলিশ সঙ্গে যাবে।”এদিন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৩০ জন সিপিআইএম সমর্থকের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মহিলা, শিশু, পরীক্ষার্থীও আছে। ত্রাণ সামগ্রী দিতে চাই। পুলিশ বাধা দিচ্ছে।” তখন রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, “গ্রামে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাময়িক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য এই পদক্ষেপ।”
উল্লেখ্য, জয়নগরে ত্রাণ নিয়ে যেতে পুলিশি বাধার অভিযোগ। এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় সিপিআইএম। বিচারপতির রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সায়ন বন্দোপাধ্যায়। জরুরি মামলা দায়েরের অনুমতি দেয় আদালত।এদিন এই মামলার শুনানি পর্বে জয়নগর এলাকায় শর্তসাপেক্ষে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে।