পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের ২৩০টি বিধানসভা আসনে এবার ভোট পড়েছে ৭৬.২ শতাংশ। ২০১৮ সালে এই হার ছিল ৭৫.৬ শতাংশ। মধ্যপ্রদেশের ভোটের ইতিহাসে এবারের ভোটদান সর্বোচ্চ। যদিও এবিপি-সি ভোটার সমীক্ষা করে জানিয়েছে কংগ্রেস বিজেপির মধ্য্য কাঁটে কা টক্কর হলেও কংগ্রেস পেয়ে যাবে ১১৩ থেকে ১২৫টি আসন আর বিজেপি পেতে পারে ১০৪ থেকে ১১৬।
অন্যান্য সমীক্ষাতেও আগে থেকেই দেখানো হয়েছে বিজেপি সুবিধা করতে পারবে না এবার মধ্যপ্রদেশে। কিন্তু বেশি ভোট পড়া দেখে কি মনে করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা চরমে উঠেছে, নাকি নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহ জেপি নাড্ডা ও যোগী আদিত্যনাথদের ব্যাপক প্রচারের ফল এই ভোট বৃদ্ধি।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সম্মান রাখতে বিশাল বিশাল র্যালির আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু ভোট সমীক্ষকরা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন কর্নাটক বিধানসভা ভোটের কথা। কর্নাটকে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। জান লড়িয়ে দিয়েছেন কিন্তু ফলপ্রকাশের পরই জানা গেল বহু বিজেপি প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে। ভোটের পর অনেকটা সংযত কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কমলনাথ। ভোটের অনেক আগে থেকেই নিজেকে গেরুয়া বানিয়ে ফেলেছেন এই নেতা। অপরদিকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলা না হলেও বিজেপি হাইকমান্ড এবার তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভাবতে নাও পারে যদি ফলাফল তাদের অনুকূলে আসে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন এটা নিয়ে বেশি চিন্তা করছে না এখানকার ভোটাররা। শিবরাজ সিং-এর কেন্দ্রে ভোট কম পড়েছে, এবার এটা নিয়েও তেমন চর্চা হচ্ছে না। হয়তো বিজেপির হাতছাড়া হতে চলেছে দলিত আদিবাসী অধ্যুষিত এই রাজ্যটি আর এর প্রভাব পড়বে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে। কর্নাটক ও মধ্যপ্রদেশ থেকে এমপি কমে গেলে বড় ধরনের বিপাকে পড়বে বিজেপি, এই চিন্তা তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
যদি কংগ্রেসের পক্ষে ভোট শতকরা হার বেড়ে যায় তাহলেও দুশ্চিন্তায় পড়বে নাগপুর হেডকোয়ার্টার। ৩ ডিসেম্বর জানা যাবে কে হাসবেন, কমলনাথ, না কি শিবরাজ সিং চৌহান?