পুবের কলম প্রতিবেদক: গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই মানুষ উপচে পড়ছে চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পূজোর মণ্ডপে মণ্ডপে। এই উৎসবের জন্যই বছরভর অপেক্ষা করে চন্দননগর। শুক্রবার থেকে আরও ভিড় জমে উঠল। শুক্রবার বিকালে কলকাতার পোস্তা এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে চন্দননগরের ৬টি পুজোর উদ্বোধন করেন। এদিনই আবার চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ করা হয়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী চন্দননগরের যে ৬টি পুজোর উদ্বোধন করেন সেগুলি হল ব্রাহ্মণপাড়া সর্বজনীন, হাঠখোলা দৈবকপাড়া, বোড়ো সর্বজনীন, উর্দিবাজার সর্বজনীন, বারাসত ব্যানার্জিপাড়া সর্বজনীন এবং মধ্যাঞ্চল, সর্বজনীন।
চন্দননগরের কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এবার ডিজে বক্স ও শধবাজি বর্জিত জগদ্ধাত্রী পুজো হবে। গত কয়েক বছর ধরেই পরিবেশবান্ধব পুজোকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে চন্দননগরে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এবার চন্দননগর থানা এলাকার ১৩৩টি ও ভদ্রেশ্বর থানা এলাকার ৪৪টি বারোয়ারি পুজো কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। তবে পুরসভার সীমানা অনুযায়ী চন্দননগর পুরসভার মধ্যে ১৪২টি, ভদ্রেশ্বর পুরসভার মধ্যে ২৪টি ও চাপদানী পুরসভার ১১টি পুজো রয়েছে। চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই আলোর উৎসব।
তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেটদলের প্রাকটিসের জার্সি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সিতেও গেরুয়াকরণ করা হয়েছে। এরা জাতীয় দলকেও রাজনীতি থেকে বাদ দিচ্ছে না।