পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ‘জনস্বার্থে’ মহুয়া মৈত্রকে তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ পূর্ণ করতে দেওয়া হোক, এমনই আবেদন করা হয়েছে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে।১২৩ জন নাগরিক মিলে বিড়লার কাছে আবেদন জানিয়েছেন।লোকসভার এথিক্স কমিটি মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া।এথিক্স কমিটি তাদের রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে লোকসভার স্পিকারের কাছে।যদিও এথিক্স কমিটির বিজেপি বিরোধী দলগুলির সদস্যরা মহুয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এথিক্স কমিটি যা প্রশ্ন করেছে মহুয়াকে তা অনৈতিক।
একটি বিবৃতিতে, ওই ১২৩ জন স্বাক্ষরকারী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা লিখেছেন, আদানি প্রসঙ্গে মহুয়া যে প্রশ্নগুলো তুলেছেন তার সঙ্গে জনস্বার্থ জড়িত। অতএব শিল্পপতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার জন্য মহুয়াকে সাসপেন্ড করা অন্যায় হবে।তাদের মতে, এই গোটা বিষয়টিকে কর্পোরেট স্বার্থের উর্দ্ধে উঠে দেখা উচিত।বিবৃতিতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে কিভাবে কর্পোরেট সংস্থাগুলির কাছ থেকে রাজনৈতিক দলগুলির ফান্ড পাওয়া সহজ হয়েছে, আইনে কি কি পরিবর্তন আনে হয়েছিল, সেই সব বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে। ওই সাক্ষরকারীদের মতে, এই সব বিষয়ে সংসদে প্রশ্ন তুলেছিলেন মহুয়া মৈত্র। তাই মাঝপথে তাঁকে সাসপেন্ড করা হলে সেটা হবে জনস্বার্থে আঘাত দেওয়া। তাছাড়া মহুয়ার সাংসদ পদ কাড়া হলে, তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষের ক্ষতি হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।তাছাড়া মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিলে, উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পেশ করতে না দিয়ে তাঁকে বহিষ্কার করা হলে তাঁর প্রতি অন্যায় করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।ওই বিবৃতিতে সাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ ও অন্যান্য বিশিষ্ঠরা।
উল্লেখ্য, মহুয়ার বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ তোলার পর মহুয়া বারবার বলেছেন, তিনি এমন কোনও কিছুই করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির এই ষড়যন্ত্রে তিনি লাভবানই হবেন। কারণ এর পরের বার আরও বেশি মার্জিনে জিতবেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও নতুন করে তাঁকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।