পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ‘ছত্তিশগড়ে যেদিন কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে, সেদিনই জাতশুমারি শুরু হবে।’ এভাবেই নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। এদিন ছত্তিশগড়ের বেমেতারা জেলায় দলীয় নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, উনি ওবিসি (অন্যান্য পিছিড়ে পড়া শ্রেণি)-দের ভোটে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু যখন ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্তদের তাদের অধিকার দেওয়ার সময় আসে, তখন তিনি তা করতে অস্বীকার করেন। এই জনসভা থেকে জাতশুমারি নিয়ে ফের সরব হয়ে রাহুল বলেন, ‘যেদিন দেশের ওবিসি, দলিত এবং আদিবাসী সম্প্রদায় তাঁদের প্রকৃত জনসংখ্যা জানতে পারবেন এবং তাদের আসল শক্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন, সেদিন দেশে আমূল পরিবর্তন আসবে। স্বাধীনতার পর এটাই হবে সবচেয়ে বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত। রাজ্যে ১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনী প্রচারের এদিন ছিল শেষ দিন।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল বলেন, নরেন্দ্র মোদি জাতগণনা করুন বা না করুন, যেদিন দ্বিতীয়বারের জন্য ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস সরকার আসবে সেদিনই জাতগণনার সমীক্ষা শুরু হবে। আরও কয়েক কদম এগিয়ে রাহুল গান্ধি এদিনের জনসভায় বলেন, দিল্লিতে কংগ্রেসের সরকার এলে প্রথম স্বাক্ষর হবে জাতগণনার সিদ্ধান্তে।
এদিনের দলীয় নির্বাচনী প্রচারসভায় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, কংগ্রেস আপনাদের সঙ্গে নিয়ে আপনাদেরই জন্য জাতগণনার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনও শক্তি আমাদের থামাতে পারবে না।’ বেমেতারার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি জাত গণনা নিয়ে কখনোই তাঁর মতামত স্পষ্ট করেননি বলে অভিযোগ করেন রাহুল। তিনি আরও বলেন, মোদিজী ১২ হাজার কোটির বিমানে চড়েন। রোজ রোজ নতুন জামাকাপড় পরেন অথচ, যাঁদের ভোট নিয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে তিনি উদাসীন। ভারতে একটাই জাতি, তা হল গরিব। আমরা ক্ষমতায় এলে খুঁজে বের করব কত সংখ্যক ওবিসি সম্প্রদায়ভূক্ত মানুষ আছেন। আর আমরা কোটিপতি শিল্পপতিদের ঋণ মকুব না করে কৃষকদের ঋণ মকুব করার উদ্যোগ নেব।
এদিন রাহুল শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করার কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্তকে আক্রমণ করে নিশানা সাধেন। বড় বড় শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, কর্নাটক, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশে যেখানে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আছে, আমি সেইসব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বলেছি, বিজেপির লোকেরা বিলিয়নেয়ার এবং বড় ঠিকাদারদের যত টাকাই দিক না কেন। কংগ্রেসে কৃষক, শ্রমিক, মা ও বোনদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও সম পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে। কারণ আমরা জানি দেশের অর্থনীতিতে রাজ্যের কৃষক, শ্রমিক, ছোট দোকানদার এবং যুবকদের অবদান কোনও অংশেই কম নয়।