পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কটাক্ষ করাই কেজরিওয়াল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে নোটিশ ধরালো নির্বাচন কমিশন। ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক এবং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে কমিশন। একইসঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকেও নোটিশ জারি করা হয়েছে। ১০ নভেম্বর বিজেপির দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে ইলেকশন কমিশন জানায়, ‘প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, উল্লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা আম আদমি পার্টির হ্যান্ডেলে করা ট্যুইটগুলি আদর্শ আচরণ বিধি, নির্বাচন এবং দণ্ড আইনের বিধান লঙ্ঘন করেছে।’ নির্বাচন কমিশন দলের আহ্বায়ক কেজরিওয়ালের কাছে ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা বক্তব্য, অভিযোগ ও কথার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।
নোটিশে নির্বাচন কমিশন জানায়, ‘প্রথম আপলোড এবং ট্যুইটে অ্যানিমেশন, ব্যাঙ্গচিত্র ও অঙ্কন এবং পরবর্তী বিষয়বস্তু সহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্যবসায়ী মি. আদানির সঙ্গে যুক্ত করে এমন একটি পোস্ট করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আদানিকে অনুরোধ করছে বা আদানির অনুগ্রহ প্রার্থনা করছে।’ ইসির নোটিশে আম আদামি পার্টির একটি পোস্টকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে প্রথম পোস্টে ‘ব্যক্তিগত জীবনের সমস্ত দিকের সমালোচনা নেতাদের জনসাধারণের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়…অন্য দল বা তাদের কর্মীদের সমালোচনা অযাচিত অভিযোগ বা বিকৃতির ভিত্তিতে’ যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। নোটিসের প্রথমে সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি প্রতিক্রিয়া জানানো না হয় তাহলে মেনে নেওয়া হবে আপ-এর পক্ষ থেকে কিছু বলার নেই, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কোনও রেফারেন্স ছাড়াই যথাযথ ব্যবস্থা বা সিদ্ধান্ত নেবে।
অন্যদিকে, ভারতীয় নির্বাচন কমিশন ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে অযাচিত বা মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রাকে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হয় মধ্যপ্রদেশের সাংবের বিধানসভা কেন্দ্রে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে উনি পিএম মোদি সম্পর্কে অযাচিত এবং মিথ্যা বয়ান দিয়েছেন। এরপরই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কাকে কমিশন নোটিশ পাঠায়। তাঁর বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করা এবং প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ রয়েছে। বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে কমিশন প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে বয়ান দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের প্রশ্ন, প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশি নির্বাচনী এবং দণ্ডবিধির বিধান লঙ্ঘনের জন্য তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কেন?