কৌশিক সালুই, বীরভূম:- ওভারলোডিং বন্ধ করে পরিবহন শিল্পকে বাঁচানোর ডাক দিলেন ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর এসোসিয়েশন। বুধবার বীরভূমের মহম্মদ বাজারে সংগঠনের প্রথম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। এদিনের সম্মেলন থেকে বীরভূম জেলা কমিটি গঠিত হয়।
ট্রাক মালিক সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে পরিবহন শিল্পে ওভারলোডিং বন্ধ করতে উদ্যোগী হল তারা। সংগঠনের দাবি মাত্র ১০% লরি মালিকদের অসাধুতার জন্য বাকি ৯০% তাদের ব্যবসা বন্ধ হতে চলেছে। মূল কারণ হিসেবে সংগঠনের দাবি ওই ১০ শতাংশ লরির মালিকরা পুলিশ ও মোটর ভিকেলস দপ্তরের একাংশের যোগ সাজসে বাকি লরি মালিকরা গাড়ি ভাড়া পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যেই ৩০ শতাংশ গাড়ি মালিকের গাড়ি ফাইন্যান্স কোম্পানি টেনে নিয়েছে। এছাড়াও ওভারলোডিং এর ফলে জাতীয় ও রাজ্য সড়কের বেহাল দশা হয়ে পড়ছে। তার ফলে দুর্ঘটনাও বাড়ছে।
বীরভূম জেলার পাথর শিল্পাঞ্চল থেকে কয়েক হাজার লরি পাথর বোঝাই করে রাজ্যের অন্যান্য জেলা ও ভিন রাজ্যে নিয়ে যাচ্ছে। আর সেখানেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ওভারলোড নিয়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের মুনাফাও অনেক বেশি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার জাতীয় সড়কে থানার গাড়ি ওঠা বন্ধ করে দিয়েছে। সংগঠনের আরো দাবি বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের উদ্যোগে ওখানে পুলিশি জুলুম বন্ধ হলেও পাশের জেলাতে সেই অবস্থা একই। তাই তারা রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে দাবি জানিয়েছেন বীরভূম জেলা পুলিশের মত যাতে রাজ্যের বাকি জেলাতেও লরির উপর পুলিশী জুলুম বন্ধ করা হয়।
শিল্পপতি টুলু মন্ডল বলেন,” সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলার লরি মালিকদের একত্রিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দ্রুত ওভারলোডিং এই জেলাতেও বন্ধ করা হবে তার জন্য সমস্ত ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে”। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সুভাষচন্দ্র বোস বলেন,” অসাধূম লরি মালিকদের জন্য যারা স্বচ্ছ ভাবে ব্যবসা করছে তারা রীতিমত সমস্যায় পড়ছেন। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। সারা রাজ্যে যাতে একইভাবে ওই রাস্তায় পুলিশি জুলুম বন্ধ করা হয় তার জন্য রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদের কাছে আমরা আর্জি জানিয়েছি। এছাড়াও ওভারলোডিং বন্ধ করতে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হবে। এদিন বীরভূম জেলা কমিটি নতুন ভাবে করা হয়েছে”।