পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ছত্তিশগঢ়ের সরকারি স্কুলে কেজি থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন সব সম্প্রদায়ের মানুষ। এছাড়া তেন্দুপাতা সংগ্রহকারীদের জন্যও বিশেষ ঘোষণা করেন রাহুল গান্ধি। দু’দিনের সফরে প্রথমদিনে শনিবার রাহুল গান্ধি ছত্তিশগঢ়ের উত্তর বস্তারের ভানুপ্রতাপপুর এবং কোংডাগাঁও এর ফরসগ্রামে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই দু’টি বড় ঘোষণা করেন।
রাহুল গান্ধি বলেন, ‘আগে তেন্দুপাতা সংগ্রহকারীরা বস্তা প্রতি ২৫০০ টাকা পেত কংগ্রেস সরকার দ্বিতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় এলে তারা ৪০০০ হাজার টাকা পাবেন। বনজ সম্পদের জন্য ১০ টাকা বেশি এমএসপি দেওয়া হবে।’ রাহুল গান্ধির ঘোষণার পর ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এই ঘোষণা ট্যুইট করে রাজ্যবাসীকে জানান। তিনি লেখেন, ‘কেজি থেকে পিজি সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে শিক্ষাপ্রদানের অঙ্গীকার ছত্তিশগঢ়ের শিক্ষাব্যবস্থায় বিপ্লব আনবে। এর অন্তর্গত ইঞ্জিনিয়ারি, আইটিআই, মেডিক্যাল, এবং ডিপ্লোমা ক্ষেত্রেও কোনও মূল্য নেওয়া হবেনা।’
ভানুপ্রতাপপুরে রাহুল গান্ধি জানান, ‘বিজেপি আদিবাসীদের বনবাসী বলে মনে করে। কিন্তু আদিবাসী এবং বনবাসীরা সম্পূর্ণ আলাদা। আদিবাসীর অর্থ ভারতের জমির প্রথম মালিক, যারা দেশে প্রথম বসবাস করেছিল তারাই আদিবাসী। এদের জমির অধিকার দিতে হবে। আদিবাসীদের ইতিহাস, জল, জঙ্গল, জমির সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা উচিত। এদের অধিকার দিতেই হবে। বনবাসীর অর্থ এমন নয় যে ভারতের প্রথম জমির মালিক তারা ছিল। এর অর্থ আপনি জঙ্গলে বসবাস করেন। আদিবাসীদের জন্য বনবাসী শধের ব্যবহারের অর্থ এদের অপমান করা।’
রাহুল আরও বলেন, ‘সরকার চালানোর দুটি উপায় আছে, এক, আপনি দেশ বা রাজ্যের ধনী ব্যক্তিদের উপকার করে টিকে থাকুন, দুই, রাজ্যের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষদের সাহায্য করা। বিজেপি শুধু বড় বড় কথা বলে। এরা জনগণনা করাতেও ভয় পায়। দেশের সরকার চালাচ্ছেন ৯০ জন আধিকারিক। এরাই সব সিদ্ধান্ত নেন। এখানে ওবিসিদের ঠকানো হচ্ছে। বাজেটে মাত্র ৫ শতাংশ অংশীদারি দেওয়া হয়েছে ওবিসিদের। একথাটা যুবসমাজকে বোঝানো প্রয়োজন। বিজেপি আপনাদের সঙ্গে অন্যায় করছে। জনগণনার পরই জানা যাবে দেশে আসলে ওবিসিদের জনসংখ্যা কত।’