পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভয়াবহ অবস্থা গাজার। শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যু বলে দিচ্ছে ‘ভয়াবহ’, ‘শোচনীয়’ সব শব্দগুলিই তাদের জন্য ছোট। নিহতের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা আর শিশু। গণকবর খোঁড়া হচ্ছে। অসংখ্য মৃতদেহের ভিড়ে প্রতিনিয়ত খুঁজতে হচ্ছে স্বজনের নিথর দেহ। প্রিয় মানুষটার দেহ সনাক্তকরণে যেন কোনও ভোগান্তি পোহাতে না হয় তাই ফিলিস্তিনিরা জীবদ্দশাতেই শরীরে আঁকছেন বিভিন্ন সনাক্তকরণ চিহ্ন। গত তিন সপ্তাহ ধরে চলছে ইহুদি বাহিনীর লাগাতার বোমাবর্ষণ। অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় ইসরায়েলের নিরলস বোমাবর্ষণ মানবিক বিপর্যয় আর করুণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে একটি হলো ফিলিস্তিন। এই হামলায় কমপক্ষে ৩ হাজার শিশু সহ ৭ হাজার ৬০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আরও ১ হাজার ৬৫০ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ও ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে, যাদের অর্ধেক শিশু। মর্গগুলোতে স্বজনদের উপচে পড়া ভিড়ক। হাসপাতালগুলো আত্মীয়রা মৃতদেহ সনাক্ত করার আগেই দাফন করতে বাধ্য হচ্ছে অনেককে।
তাই মারা গেলে সনাক্তকরণে যেন ভোগান্তি না হয়, বেওয়ারিশ যেন দাফন না হয় সেজন্যই শরীরে সনাক্তকরণ চিহ্ন রাখছে তারা। ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো সনাক্তকরণ ব্রেসলেট পরা শুরু করেছে। এবং তাদের বাচ্চাদের হাত ও পায়ে মার্কার দিয়ে নাম স্ক্রল করা শুরু করেছে।