পুবের কলম,ওয়েব ডেস্ক: ইউরোপের সেরা পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। ইউরোপিয়ান ফুটবলে বিভিন্ন ক্লাবে খেলা সেরা ফুটবলারদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয় সেরা ফুটবলারটিকে। সাধারণভাবে স্ট্রাইকার বা মিডফিল্ডারদের ক্ষেত্রেই দেখা যায় ব্যালন ডি’অর পুরস্কার পাওয়ার প্রবণতা। আসলে কি কত বেশি গোল করতে পারছেন, তার সঙ্গে অন্য ফুটবলারের গোল করার পিছনে সেই ফুটবলারের অবদান কতটুকু, তারই ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হয় সেরা ফুটবলারটিকে। এর সঙ্গে দেখা হয় জাতীয় দলের হয়ে তিনি বিশ্বের কোন আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতা জিতেছেন। তা যদি বিশ্বকাপ হয় তাহলে তো সেরা ফুটবলারদের মাথায় যুক্ত হবে নতুন পালক। যা তাকে এনে দেবে ইউরোপের এই সেরার সম্মান। এটি শুধু ইউরোপ নয়, গোটা বিশ্ব ফুটবলের কাছে একটি দারুণ সম্মান। লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোরা বহুবার এই বিশেষ সম্মান পেয়েছেন। অন্যান্য ফুটবলারদের মধ্যেও বহু ফুটবলার পেয়েছেন অন্যতম সেরা এই ব্যালন ডি’অর পুরস্কার।
সাধারণত স্ট্রাইকার বা মিডফিল্ডাররা এই পুরস্কার বেশি পেয়ে থাকলেও বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডারও ব্যালন ডি’অর পুরস্কার পেয়েছেন। গোলকিপাররা অবশ্য এই পুরস্কার লাভের ক্ষেত্রে খুব একটা কলকে পান না। সেক্ষেত্রে গোটা বিশ্বের এক ও একমাত্র ব্যতিক্রমী গোলকিপার হিসেবে ব্যালন ডি ওর জেতার অধিকারী হলেন প্রাক্তন রাশিয়ান গোলরক্ষক লেভ ইয়াসিন। কি ক্লাব ফুটবলে, কি দেশের জার্সি গায়ে, ইউরো কাপ কিংবা বিশ্বকাপ ফুটবলের আঙিনায় ইয়াসিনের বিখ্যাত হাত বাঁচিয়েছে বহু গোল। রাশিয়ান রক্ষণে শেষ স্তম্ভ হিসেবে লেভ ইয়াসিন গোলকিপিং এর ক্ষেত্রে নিজেকে বানিয়েছেন কিংবদন্তি।
নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারে ১৫১ টি ম্যাচে পেনাল্টি বাঁচিয়েছেন তিনি। ২৬৯ ম্যাচে কোনও গোল খাননি। যা বিশ্ব ফুটবলের আঙিনায় একজন গোলকিপারের অনবদ্য রেকর্ড। আর তাই তাকে সম্মানিত করা হয় ‘বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গোলকিপার’ হিসেবে ।
১৯৬৩ সালে তার ক্লাব ডায়নামো মস্কোর হয়ে দুর্দান্ত গোলকিপিং এর সুবাদে এবং তার কয়েক বছর আগে বিশ্বকাপে সোভিয়েত ইউনিয়নের হয়ে অনবদ্য গোলকিপিং এর সম্মান হিসেবে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার পান লেভ ইয়াসিন। সেই প্রথম এবং সেই শেষ। এর আগেও কোনও গোলকিপার কখনো ব্যালন ডি’অর পাননি। আর পরেও আজ পর্যন্ত কোনো গোলকিপারের হাতে ওঠেনি ব্যালন ডি অরের এর সম্মান। সেক্ষেত্রে ব্যালন ডি’ওর পুরস্কার পাওয়ার নজির হিসেবে বিরল সম্মানের অধিকারী হয়ে রয়েছেন রাশিয়ার এই বিশ্ববন্দিত গোলকিপার।