পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাড়িতে যীশু খ্রিস্টের ছবি থাকার অর্থ এই নয় যে ওই ব্যক্তি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছেন, এক মামলার পর্যবেক্ষণে জানালো বম্বে হাইকোর্ট। আদালতের নাগপুর বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে এই রায় দেয়। আবেদনকারি নাবালিকার দাবি ছিল সে মাহার বর্ণের। বর্ণ শংসাপত্র যাচাই কমিটির বক্তব্য, ওই মেয়েটির ঘরে যীশু খ্রিস্টের ছবি আছে। ভিজিল্যান্স সেল মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে যীশু খ্রিস্টের একটি ছবি পাওয়ার পরে তার জাতি শংসাপত্র বাতিল করে দেয়। কমিটি আদালতকে আরও জানায়, মেয়েটির বাবা এবং দাদা খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন।
কিন্তু বম্বে হাইকোর্ট বর্ণ শংসাপত্র যাচাই কমিটির সেই আদেশ বাতিল করে দিয়ে জানিয়ে দেয়, ঘরে যীশু খ্রিস্টের ছবি থাকা মানেই সে খ্রিস্টান এমন মনে করার কোনও প্রয়োজন নেই। মামলার পর্যবেক্ষণে এই রায় দেন বিচারপতি পৃত্থীরাজ চৌহান ও বিচারপতি যোশী ফাহলকের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানায়, কোনও বিবেকবান মানুষ গ্রহণ করবে না, বা বিশ্বাস করবে না যে বাড়িতে যীশু খ্রিস্টের একটি ছবি আছে বলেই বাস্তবিক অর্থে একজন ব্যক্তি খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত।
নাবালিকা আদালতে জানায়, যীশুর ছবিটি কেউ তাকে উপহার দিয়েছিলেন, সেটি সে বাড়িতে রেখেছিল। তার আরও দাবি সে বৌদ্ধ ধর্ম অনুশীলন করছে। সে মাহার সম্প্রদায়ভুক্ত, যা তফশিলি জাতির মধ্যে পড়ে। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, পরিবারটি শ্রমিকের কাজ করে, তাদের পরিবারে বিবাহ বৌদ্ধরীতি মেনেই হয়েছিল। ভিজিল্যান্স সেলের প্রতিবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকার করে ডিভিশন বেঞ্চ বর্ণ যাচাই কমিটিকে আবেদনকারীকে একটি বর্ণের বৈধতা শংসাপত্র জারি করার নির্দেশ দেয়। আদালতের আদেশের পর থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।