পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কোভিডে মৃতদের মানপত্র পাওয়া নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে মোদি সরকার। কোভিডে মৃতদের তালিকায় কারা থাকবেন– কারা নয় তা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশ মোতাবেক নয়া গাইডলাইন ইস্যু করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক।
নয়া গাইড লাইনে জানানো হয়েছে– শুধু করোনাতে মৃত্যু হলে তবেই সেটা উল্লেখ করা যাবে ডেথ সার্টিফিকেটে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিষ খেয়ে মৃত্যু– আত্মহত্যা– দুর্ঘটনা কিংবা পথ দুর্ঘটনার শিকার হলে তাঁকে কোভিড আক্রান্ত বলা যাবে না।র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট– মলিকিউলার টেস্ট ও আরটি-পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে মৃত কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কীনা। যদি কোনও পরীক্ষা না হয়ে থাকে– তবে হাসপাতাল থেকে প্রমাণ রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনও চিকিৎসক যদি তাঁকে কোভিড আক্রান্ত বলে চিহ্নিত করেন– তাহলেও তা প্রমাণ হিসাবে ধরা হবে। কোনও ব্যক্তি বাড়িতে বা হাসপাতালে যেখানেই মারা যান না কেন– চিকিৎসক বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেথ সার্টিফিকেটে মৃতু্যর কারণ কোভিড লিখবে। আর সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে ৪ এবং ৪এ ইস্যু করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ আইনের ১০ নং ধারায় এই ফর্ম আবশ্যক।
নতুন নির্দেশিকাতেও এও উল্লেখ করা হয়েছে– করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে মৃতু্য হলে তা কোভিডে মৃত বলে গন্য করা হবে। তাঁদের ডেথ সার্টিফিকেটেও মৃতু্যর কারণ কোভিড লিখতে হবে– সেক্ষেত্রে বাড়ি বা হাসপাতালে যেখানেই মৃতু্য হোক না কেন। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে– করোনায় মৃত ব্যক্তিদের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃতু্যর কারণ উল্লেখ না থাকলে– জেলা শাসকের কাছে মৃতের পরিবার আবেদন জানাতে পারে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে– মৃত্যুর কারণ নিয়ে পরিবারের অসন্তোষ বা অভিযোগ থাকতে পারে। তারজন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে জেলাস্তরে কমিটি তৈরির কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য– সম্প্রতি কেন্দ্রকে করোনায় মৃতু্য সংক্রান্ত নয়া গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দেয় সুপ্রিমকোর্ট। ৩ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানি ছিল। ওই দিন শীর্ষ আদালত জানতে চায়– কেন এখনও গাইডলাইন তৈরি হয়নি। জুন মাসেই গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। কোভিডে মৃতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয়– সেইজন্যই এই নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।