পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গাজা শহরের হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানালো ইরান। মঙ্গলবার এক বক্তৃতায় বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এই গণহত্যাকে ‘বর্বর যুদ্ধাপরাধ’ এবং ‘গণহত্যার’ উদাহরণ বলে উল্লেখ করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, এই পশুর মতো আচরণ ও ভয়ঙ্কর অপরাধের মাধ্যমে, ইহুদিবাদী শাসক আবারও সমগ্র বিশ্বের জনগণের কাছে তাদের হিংস্রতা তুলে ধরছে। কানানি আরও বলেন, ইসরাইলি শাসনব্যবস্থা প্রমাণ করেছে যে, যারা যুদ্ধ পরিচালনা করে, তারা আন্তর্জাতিক আইনের নীতি ও নিয়মের প্রতি ন্যূনতম প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না।
হাসপাতালে ইসরাইলি হামলার ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করে কানানি বলেন, এই নৃশংসতা থেকে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণকে তাদের ভূমির মুক্তির জন্য লড়াইতে ইরান তাদের পাশে আছে।
মঙ্গলবার রাতে গাজায় আল-আহলি আরব হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরাইল। বিমান হানায় কমপক্ষে ৫০০ জন নিহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। কারণ মন্ত্রণালয়ের মতে এখনও শত শত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে। মৃতদের মধ্যে শিশু আর মহিলারাও আছেন। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।
ইসরাইলের বিমান হামলার থেকে বাঁচতে যখন গাজাবাসী আশ্রয় ও চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন ঠিক তখন এই বিমান হামলা হয়। একসঙ্গেই একাধিক নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে গোটা বিশ্বজুড়ে ইসরাইলি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশর, জর্ডন ও তুরস্ক এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই মৃত্যুর জন্য হামাসকে দায়ী করেছেন।