পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলার বিরোধিতায় মার্কিন রাজধানী ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ করেছে অসংখ্য মানুষ। শনিবার ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে হোয়াইট হাউস চত্ত্বর। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মানুষদের হাতে ফিলিস্তিনপন্থী বিভিন্ন বার্তা ও স্লোগান লেখা পোস্টার ছিল। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিপন্থী মিছিল-সমাবেশ করেছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে আয়ারল্যান্ড ও কানাডাতেও। গাজায় ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ব্রিটেনের একাধিক শহরেও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। বিক্ষোভে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ গাজায় ইসরাইলের সামরিক হামলা বন্ধের দাবিতে সরব হন। শনিবার কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারী রাজধানী শহর লন্ডন এবং ম্যানচেস্টারসহ ব্রিটেনের অন্যান্য শহরের রাস্তায় নামেন। লন্ডনে বিবিসির নিউ ব্রডকাস্টিং হাউস থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট পর্যন্ত চলে মিছিল। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবির পাশাপাশি ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানান তারা। এসময় লন্ডনে এক হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ান অনেকে। এখনও পর্যন্ত সাতজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।এদিকে লন্ডনে বিবিসির সদর দফতরের প্রবেশপথে লাল রং করে দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে ভাঙচুর করেন কিছু বিক্ষোভকারী। তারা বলছেন, এই লাল রং ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চালানো ইসরাইলি গণহত্যার প্রতীক এবং ফিলিস্তিন নিয়ে মিডিয়ার অসত্য প্রতিবেদনের প্রতিবাদ। একটি ভিডিয়োতে অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ বিবিসির সদর দফতরে লাল রং করার দায় স্বীকার করেছে। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ বলেছে, তারা এ ঘটনার তদন্ত করছে। অন্যদিকে ম্যানচেস্টারে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানিয়েছেন ব্রিটিশ নাগরিকরা। তারা বলছেন, এই সমস্যার একমাত্র সমাধান স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন।