পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পুজোর মুখে সিবিআই-এর তৎপরতা শহরজুড়ে। সকাল থেকে শাসক দলের এক এক করে হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং বিধায়ক মদন মিত্রর বাড়ির পাশাপাশি হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়াতেও তল্লাশি চালাচ্ছে তাঁরা। চেতলা-ভবানীপুর শহর গোটা এলাকাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ছয়লাপ ।
কলকাতার পাশপাশি পাশাপাশি হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়াতেও তল্লাশি চালাচ্ছে তাঁরা। কাঁচরাপাড়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুদামা রায় এবং হালিশহরের প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমান রায়ের বাড়িতে হানা দিয়েছে তাঁরা। অংশুমান রায়ের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের চার সদস্যের দল। তাঁর বাড়ির আলমারি থেকে বিভিন্ন কাগজপত্র বার করে দেখেন আধিকারিকরা। নিউ ব্যারাকপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃপ্তি মজুমদারের বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি হয়েছে।
কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে রবিবার সকালেই শুরু হয় সিবিআই হানা। ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা। পুরপ্রধানের বাড়ির সামনে ফিরহাদ অনুগামীদের ভিড়। তল্লাশি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরহাদ হাকিমের আইনজীবী ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলেও তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
গত ৫ অক্টোবর খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পুরনিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় এই অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়। রথীন দীর্ঘ দিন ধরে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। এই আবহে ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বেআইনি ভাবে পুরনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য পেতেই মন্ত্রীর বাড়িতে হানা ইডির। তার রেশ কাটতে না কাটতে রবিবার সকাল থেকে এক এক করে শাসকদলের হেভিওয়েটদের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতা ঘিরে কলকাতা শহর সহ শহরাঞ্চলের চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। চেতলা, ভবানীপুর সহ ১২ জায়গায় সিবিআই হানা।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা প্রতিবাদে দিল্লিতে গিয়ে ধরনায় বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব। কিন্তু শাসকদলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। এমনকি দিল্লি পুলিশ তাদের সাংসদের চুলের মুঠি ধরে অবস্থান কর্মসূচি থেকে বের করে দেন। মহিলা সাংসদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়। এর পরেই পালটা সরব হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
.@abhishekaitc এর ধর্ণা হিট। বিজেপির উপর চাপ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে আসতে হয়েছে, তাতেও ফল শূন্য। রাজ্যপাল কোণঠাসা, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তাই নজর ঘোরাতে রাজনৈতিক পরিকল্পনায় আবার নামানো হল এজেন্সিকে। বিজেপির আত্মরক্ষার অস্ত্র।
এই করে .@AITCofficial কে দমানো যাবে না।— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) October 8, 2023
কুণাল সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা হিট। বিজেপির উপর চাপ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে আসতে হয়েছে, তাতেও ফল শূন্য। রাজ্যপাল কোণঠাসা, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এখন নজর ঘোরাতে রাজনৈতিক পরিকল্পনায় আবার নামানো হল এজেন্সিকে। বিজেপির আত্মরক্ষার অস্ত্র।’’