পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সন্দেহভাজন আইএসআইএস জঙ্গি যোগের অপরাধে জামিয়া মিলিয়ার প্রাক্তন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম আরসাদ ওয়ারসি। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, আরসাদকে এই সপ্তাহের প্রথম দিকে গ্রেফতার করা হয়। আরসাদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সিএএ-এনআরসি বিরোধী প্রচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে। সেই মেসেজগুলি জামিয়ার ছাত্রদের হোয়াটস-অ্যাপ গ্রুপের মধ্যে বিনিময় হয়েছিল।
পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব দিল্লি দাঙ্গায় আরসাদের বিরুদ্ধে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এই সপ্তাহের শুরুতে নাগরিকত্ব বিরোধী সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত থাকা সহ সন্দেহভাজন আইএসআইএস জঙ্গি যোগের অভিযোগে আরসাদকে গ্রেফতার করে।
আরসাদ ওয়ারসি একজন পিএইচডি ছাত্র, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণী। উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ ও দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল একযোগে আরসাদকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, ২০১৯ সালে সিএএ, এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালিয়েছিলেন আরসাদ। সামাজিক মাধ্যমের পেজে লেখা হয়েছিল, “দেশ সে তেরা মেরা রিশতা কেয়া, লা লিলাহ ইল্লা”। সূত্রের খবর, আরসাদ ওয়ারসির গ্রেফতার এবং পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদের ফলে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে শুরু হওয়া দাঙ্গার সঙ্গে তার যোগসূত্র পাওয়া যায়। এবং আরও ব্যাপক জঙ্গি হামলার পরিকল্পনায় তার জড়িত থাকার সন্দেহ রয়েছে। শাহীনবাগের প্রতিবাদ সংঘটিত করার জন্যও তাঁর সক্রিয় ভূমিকা থাকার খবর রয়েছে। আরসাদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, সন্দেহভাজন আইএসআইএস জঙ্গি মুহাম্মদ শাহনওয়াজকে আশ্রয় দিয়েছিলেন তিনি। শাহনওয়াজ পুনে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যায়, পরে তাকে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করে।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে আরসাদ ওয়ারসি শারজিল ইমামের সহায়তায় আরও বড় দাঙ্গা উসকে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। চার্জশিটে ওয়ারসির ফেসবুক পোস্টগুলিও তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের একাধিক উল্লেখ রয়েছে।
সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময়, আরসাদ ওয়ারসি ২০১৬ সালে কট্টরপন্থী হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন, সেই সঙ্গে দাবি করেন তিনি আইএসআইএসের “সুফা” মডিউলের অংশ ছিলেন।