পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর ওড়িশা উপকূলের কাছে সুষ্পষ্ট নিম্নচাপটি অবস্থান করছে। কেন্দ্রের ১০০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ২০ – ৩০ কিমির মধ্যে রয়েছে। যা ১ মিনিটের জন্য ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুষ্পষ্ট নিম্নচাপটি আগামী ২৪ ঘন্টায় পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর ওড়িশা উপকূল দিয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। দক্ষিণবঙ্গে প্রায় ৫ অক্টোবর পর্যন্ত, ও উত্তরবঙ্গে প্রায় ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টি ও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি চলবে।
তবে এই সময়ের পরও বিক্ষিপ্ত বজ্রবৃষ্টি জারি থাকবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। আজ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের ২৫ – ৫০ শতাংশ অঞ্চলে এবং ১ অক্টোবর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের ৫০ – ৭৫ শতাংশ অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঘন্টায় ২০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবে। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের সম্ভাবনা।
প্রবল বৃষ্টির কারণে কৃষিকাজের ক্ষতি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য, তরাই-ডুয়ার্স, সমতল ও দক্ষিণবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের নদী সমূহের জলস্তর বাড়তে পারে। আগামী ১২ – ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি সাগর থেকে স্থলে এসে অবস্থান করবে। তবে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল লাগোয়া সমুদ্রে তারপরও দুএকদিন ঘন্টায় ৪০ – ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। গভীর সমুদ্রে যা কখনো কখনো ঘন্টায় ৬০ – ১০০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। তাই সকল মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সাগরে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। উপকূলের অবস্থা বুঝে সমুদ্রের যেতে বলা হয়েছে।