উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে শুক্রবার মর্মান্তিক মৃত্যু জয়নগর থানার উওর দুর্গাপুরের যুবকের। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পরে যুবকের দেহ সোমবার তার বাড়িতে আনা হয়। সাউথ বিষ্ণুপুর মহাশ্মশানে শেষকৃত্য করা হয়। ২২ বছরের যুবকের নাম অনুপম চক্রবর্তী। এক বছর আগে অন্ধপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের একটি আইটি সেন্টারে কাজে যান অনুপম। বাবা নচিকেতা চক্রবর্তী ও মা কবিতার একমাত্র পুত্র ছিলেন অনুপম।
পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘ এক বছর যাবত অনুপম ওখানের একটি কোম্পানিতে এনিমেশনের উপরে কাজ করতেন। ভালো কাজের সুনামে ইতিমধ্যেই প্রমোশনও পেয়েছে সে। প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল ও রাতে বাবা ও মার সঙ্গে কথা বলতো অনুপম। শুক্রবার রাত ১১: ৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ কথা হয় মায়ের সঙ্গে। প্রতিদিন সকালবেলা অফিসে যাওয়ার আগে সে ফোন করত। কিন্তু শনিবার সকাল থেকেই তাঁর ফোন সুইচ অফ ছিল। চিন্তা বেড়ে যায় নচিকেতা চক্রবর্তী ও কবিতাদেবীর। বেলায় ছেলের ফোন থেকে মা কবিতার কাছে আরপিএফ থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাদের ছেলে মৃতদেহ রেললাইনের উপরে পড়ে আছে। ময়না তদন্তের জন্য তাদের কাছে যেতে বলা হয়। তড়িঘড়ি তারা ওইদিনই বিশাখাপত্তনমের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন নচিকেতা ও কবিতা চক্রবর্তী।
সোমবার বেলায় মৃতদেহ জয়নগরের উত্তর দুর্গাপুরে বাড়িতে ফিরলে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের মানুষ জন থেকে এলাকার মানুষ জন। সদা হাস্যময় যুবক অনুপমের মৃত্যু খুন নাকি আত্মহত্যা তার তদন্তের কাজ শুরু করেছে অন্ধপ্রদেশের পুলিশ। এদিকে মৃতের পরিবারের দাবি তাদের ছেলেকে খুন করা হতে পারে। তাদের ছেলের এইভাবে মৃত্যু তারা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তার কাজে হিংসার কারণে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে বলে পরিবারের দাবি। পরিবারের দাবি সুষ্ঠু ভাবে তদন্ত করা হোক।