পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক : মহারাষ্ট্রে গত ৭মাসে ১৫৫৫জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিজেপি-শিবসেনা-এনসিপি সরকারের নিন্দা করে বিরোধী দল কংগ্রেস বৃহস্পতিবার বলেছে, মহারাষ্ট্রে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুন পর্যন্ত সাত মাসে ১৫৫৫ কৃষক আত্মহত্যা করে মারা গেছেন। এমনকি বেশ কয়েকটি জেলা খরার মতো পরিস্থিতির দেখা দিয়েছে।
বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা বিজয় ওয়াডেত্তিওয়ার বলেছেন,”ট্রিপল-ইঞ্জিন সরকার কৃষকদের জীবন রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।” সরকার কখন খরা ঘোষণা করবে তা তিনি জানতে চেয়েছেন৷ কোঙ্কন, বিদর্ভ, মারাঠওয়াড়া, উত্তর মহারাষ্ট্র, পশ্চিম মহারাষ্ট্রের তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে কংগ্রেস নেতা ওয়াডেত্তিওয়ার উল্লেখ করেছেন, ওই ৫টি অঞ্চলে খরার মতো পরিস্থিতি কৃষকদের আত্মহত্যার কারণ ।
তার দেওয়া মহারাষ্ট্র জুড়ে কৃষকদের আত্মহত্যার মাসভিত্তিক সংখ্যা হল – জানুয়ারিতে ২২৬জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৯২জন, মার্চে ২২৬জন, এপ্রিলে ২২৫জন, মে মাসে ২২৪জন, জুন মাসে ২৩৩ এবং জুলাই মাসে২২৯জন। উপকূলীয় কোঙ্কন অঞ্চলে কৃষকদের জীবন শেষ অর্থাৎ আত্মহত্যা করার ঘটনা রিপোর্ট করা হয়নি। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বিদর্ভের। যেখানে নাগপুর এবং অমরাবতীর দুটি রাজস্ব বিভাগ রয়েছে।
অমরাবতী বিভাগে ৬৩৭ কৃষকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অমরাবতী জেলারই পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। এখানে ১৮৩ জন কৃষক জীবন শেষ করে দিয়েছেন। তারপরে বুলধানা (১৭৩), ইয়াভাতমাল (১৪৯), আকোলা (৯৪) এবং ওয়াশিম (৩৮) রয়েছে। নাগপুর বিভাগে ১৪৪ জনের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে চন্দ্রপুরে সর্বাধিক ৭৩ জন, তারপরে ওয়ার্ধা ৫০জন, নাগপুর ১৩জন, ভান্ডারা ৫জন এবং গোন্দিয়া ৩ জন কৃষক রয়েছেন।
মারাঠওয়াড়ার আওরঙ্গাবাদ বিভাগে ৫৮৪ জনের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।সরকারিভাবে বিদর্ভে ১৫৫জনের আত্মহত্যার ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে।এরপরে ওসমানাবাদ ১০২জন, নান্দেদ ৯৯জন, ঔরঙ্গাবাদে ৮৬জন,পারভানিতে ৫১, জালনায় ৩৬ জন, লাতুরে ৩৫ জন এবং হিঙ্গোলিতে ২০ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। রয়েছে। নাসিক বিভাগে (উত্তর মহারাষ্ট্র) ১৭৪জন কৃষকদের জীবন শেষ করার ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। জলগাঁওতে সর্বাধিক ৯৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তারপরে আহমেদনগরে ৪৩ জন, ধুলেতে ২৮ জন, নাসিকে ৭ এবং নন্দুরবারে ৩ জন কৃষক নিজের জীবন শেষ করে দিযেছেন আত্মহত্যা করে।
পশ্চিম মহারাষ্ট্রের পুনে বিভাগে ১৬জনের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে এবং সোলাপুর সর্বাধিক ১৭জনের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। তারপরে সাতারায় ২জন এবং সাংলিতে ১জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।