পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ‘কম্বলবালে বাবা’কে নিয়ে মহারাষ্ট্রে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক নাটক। সম্প্রতি, রাজস্থান থেকে ’কম্বলবালে বাবা’কে মহারাষ্ট্রের ঘাটকোপারে নিয়ে এসেছিলেন বিজেপি বিধায়ক রাম কদম। ১৪ এবং ১৫ সেপ্টেম্বর ঘাটকোপারে বাবাজির এক শিবির আয়োজন করেছিলেন তিনি। বিজেপি বিধায়কের দাবি, প্রতিবন্ধীদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিয়ে তাঁদের সুস্থ করে দিুতে পারেন এই বাবাজি। কিন্তু, ঘাটকোপরের শিবিরে তিনি কম্বলের আড়ালে মহিলাদের আপত্তিকর ভাবে স্পর্শ করেছেন বলে, অভিযোগ উঠেছে। আর তারপরই, এই বিষয়কে কেন্দ্র করে বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস ও এনসিপি। মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের দুই শরিক দল, বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে কুসংস্কার ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে। তবে, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) এখনও এই বিষয়ে মুখ খোলেনি।
‘কম্বলবালে বাবা’ ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এনসিপি সাংসদ তথা শরদ পওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে। বিজেপি বিধায়কের উপস্থিতিতে, বাবাজি মহিলাদের আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এনসিপি নেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুপ্রিয়া সুলে বলেছেন, তরাজস্থানের এক বাবাজি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিয়ে তাঁদের সুস্থ করার দাবি করছেন। এই দাবির আড়ালে, মুম্বইয়ের ঘাটকোপার এলাকায় বিজেপির এক বিধায়কের উপস্থিতিতে মহিলাদের অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করছেন ওই ব্যক্তি। দুঃখের বিষয় মহারাষ্ট্রে কুসংস্কার ও কালাজাদু বিরোধী আইন থাকা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। মহিলাদের যৌন হেনস্থা করা হচ্ছে, সরকার এই বাবাজির বিরুদ্ধে কবে কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে?দ তিনি আরও দাবি করেছেন, তবিধায়কের প্রত্যক্ষ সমর্থনে কুসংস্কার ছড়ানো হচ্ছে।
এদিকে, এনসিপি এবং কংগ্রেসের তীব্র আক্রমণের মুখেও বিজেপি বিধায়ক রাম কদম দাবি করেছেন, কম্বলবালে বাবা সত্যিকারের অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। তিনি কোনও কুসংস্কার ছড়াচ্ছেন না। বরং, কম্বলবালে বাবার চিকিৎসাকে তিনি ‘সনাতন ধর্ম’ বলে দাবি করেছেন। এক ভিডিয়ো প্রকাশ করে বিজেপি বিধায়ক বলেছেন, ‘আমি নিজেও একজন বিজ্ঞানের ছাত্র। কম্বলবালে বাবার বিষয়ে আমার নিজের অভিজ্ঞতা আছে। তাঁর কাছে গিয়ে আমার পরিবারের সদস্যরা উপকার পেয়েছেন। যাঁরা এই সনাতন ধর্মাচারকে কুসংস্কার বলছে, তাদের উচিত সঙ্গে করে ডাক্তার নিয়ে আসা। আগে পরীক্ষা করে দেখা উচিত, তারপরই এই বিষয়ে কোনও কথা বলা উচিত। আমি কুসংস্কার ছড়াচ্ছি না।’