পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ সম্প্রতি একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা সামনে এসেছে। যাতে পঞ্জাবের হিসারে জনৈক স্ত্রী ২০১৯ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের আর্জি জানিয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন হিসার পারিবারিক আদালতের। জানা যায়, ওই মহিলার অভিযোগ ছিল বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তিনি। কিন্তু পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টের রায়ে আসল সত্য উদ্ধার হয়। পারিবারিক অত্যাচারের শিকার ওই মহিলা হননি বরং জানা যায় ওই মহিলার স্বামী অত্যাচারের শিকার হয়েছেন।
পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টের বিচারক ঋতু বহরি এবং বিচারক অর্চনা পুরীর ডিভিশন বেঞ্চ ওই মহিলার হিসার পারিবারিক আদালতে দায়ের করা বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।জানা গিয়েছে যে ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে হিসারের এই ব্যাঙ্ককর্মীর সঙ্গে এই স্কুলশিক্ষিকার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তিনি শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে অপদস্থ করতেন, যদিও তাঁর স্বামী কোনও দিনই কিছু বলেননি। এরই মাঝে তাঁদের কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু ওই মহিলা ২০১৬ সালে স্বামী এবং কন্যাকে ছেড়ে চলে যান। এর পর ২০১৯ সালে তিনি হিসার পারিবারিক আদালতে পারিবারিক অত্যাচারের অভিযোগে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন।
বিচারক বহরি এবং পুরী জানিয়েছেন, যে ক্রমাগত কোণঠাসা হতে হতে যখন ওই স্বামী ন্যায়বিচারের আশায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন, তখন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। জানা গিয়েছে যে বিয়ের সময়ে তাঁর শারীরিক ওজন ছিল ৭৪ কেজি, কিন্তু তা এসে ঠেকেছে ৫৩ ঠেকেছে, ২১ কেজি ওজন কমেছে তাঁর, যার প্রভাব পড়েছে তার স্বাস্থ্যে। ওই ব্যাঙ্ককর্মী ৫০ শতাংশ শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে, হাই কোর্টের বক্তব্য মতো তিনি এখন হিয়ারিং এইড ব্যবহার করতে বাধ্য হন! যার জেরে হাইকোর্ট পারিবারিক আদালতের রায়কে মেনে না নিয়ে মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে।