পুবের কলম প্রতিবেদকn রেফার আটকাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে হাসপাতালগুলিকে কড়া দাওয়াই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও তেমন কাজ হচ্ছে না। রোগীর পরিষেবা না দিয়েই রোগীকে অন্যত্র যেতে বলতে বলা হচ্ছে।
রেফার নিয়ে যে অভিযোগ উঠে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, যে অধিকাংশ রেফার হয়ে থাকে রাতে। বিশেষ করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এবং কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সন্ধ্যের পর থেকে রেফার বেড়ে যাচ্ছে। বৈঠকে জানানো হয়েছে কোনও রোগীকে না দেখেই অন্য হাসপাতালে রেফার করা যাবে না। আগে রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কী সমস্যা হয়েছে বা কী করা প্রয়োজন? তা রোগী-পরিবারকে ঠিকমতো বুঝিয়ে দিতে হবে। তারপরে প্রয়োজনে কথা বলে রেফার করা যেতে পারে। তবে কোনওভাবেই রোগী না দেখে রেফার করা যাবে না।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতাল, এনআরএস হাসপাতাল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, আরজিকর এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, এই পাঁচটি হাসপাতালে বিভিন্ন জেলার হাসপাতালগুলি থেকে প্রায়ই রোগীদের রেফার করা হয়ে থাকে।
মূলত সেই সমস্ত কারণেই ওই পাঁচটি হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত মেডিক্যাল সুপারদের নিয়ে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জমা পড়া অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে কীভাবে রোগীদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে? কী কারণে রেফার করা হয়েছে? কোথায় রেফার করা হয়েছে? কোন হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়েছে?
এর আগে সমস্যা নিয়ে বহুবার স্বাস্থ্য অধিকারিক থেকে শুরু করে হাসপাতালগুলিকে ধমক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া বহু পদক্ষেপও করা হয়েছে।
তা সত্ত্বেও রেফার রোগ বন্ধ হয়নি। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানোর পোর্টালে ইতিমধ্যে রেফার সংক্রান্ত বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই বিষয়টি নজরে আসতে বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য দফতর। শহরের পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজের কর্তৃপক্ষকে ডেকে এই বৈঠক করা হয়। কারণ ওই হাসপাতালগুলিতেই বেশি রোগী রেফার করা হচ্ছে। সেই কারণে ওই হাসপাতালের আধিকারিকদের ডেকে বৈঠক করা হয়।