পুবের কলম প্রতিবেদক: মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকল সদস্য, বোর্ডসচিব এবং পর্ষদ সভাপতির উপস্থিতিতে এক বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতেই বিগত বছরের মাদ্রাসা বোর্ডের উন্নয়নমূলক কাজকর্মের বিষয়গুলি তুলে ধরেন পর্ষদ সভাপতি ড. সেখ আবু তাহের কমরুদ্দিন। তিনি বলেন, পর্ষদ সারাবছর মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নয়নে নানা কাজকর্ম এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ণ করছে। বর্তমান সরকারের আমলে কাজের পরিধি অনেকটাই বেড়েছে। নীতি-নির্ধারণ থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রকল্পের রূপায়ণ সঠিকভাবে হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকার ও অন্যান্য সাহায্যকারী সংস্থা সহ পর্ষদের সদস্য ও আধিকারিকরা কাজ করে চলেছে।
ইসলামি ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রেখে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে বেশ এগিয়েছে পর্ষদ। ইতিমধ্যেই মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ স্বীকৃত সমস্তমাদ্রাসার শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং এই সম্পর্কিত বিভিন্ন মডিউল তৈরি করা হয়েছে। মাoাসা শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে ইউনিসেফ, সিনি, টিআইএসএস সহ অন্যান্য শিক্ষামূলক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে নানা কর্মশালা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, উর্দু ও ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসার জন্য পাঠ্যপুস্তকও তৈরি করা হয়েছে। পর্ষদ সভাপতি বলেন, রাজ্যে মোট ১৪টি ইংরেজি মাধ্যম মডেল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কয়েক হাজার পড়ুয়া এই সমস্ত ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করছে।
বিধায়ক রহিমা মণ্ডল মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে রাজ্য সরকার যে ভূমিকা নিয়েছে, সেই বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মাoাসা পড়ুয়ারা রাজ্য শিক্ষা দফতরের যাবতীয় সুবিধা পাচ্ছে। সবুজ সাথীর সাইকেল থেকে ট্যাব, কন্যাশ্রী, পোশাক সবকিছুই। মাদ্রাসা পর্ষদের সিনিয়র সদস্য এ কে এম ফারহাদ বলেন,মাদ্রাসা পড়ুয়ারা যে কোনও অংশে কম নয়, বিগত কয়েক বছরের ফলাফলে তা সামনে এসেছে।
মাদ্রাসা পড়ুয়ারা আজ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি করছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারের আমলে। একটা সময় ছিল যখন মাদ্রাসা পড়ুয়াদের সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে অন্যান্য সুযোগ সুবিধায় বঞ্চিত হতো। কিন্তু এখন কোনও কিছুতেই বঞ্চিত থাকে না। সাধারণ শিক্ষার মতোই মাদ্রাসা পড়ুয়ারা এগিয়ে যাচ্ছে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মাদ্রাসা পর্ষদের সচিব সেখ আবদুল মান্নাফ আলি এবং উপসচিব ড. আজিজার রহমান।