পুবের কলম প্রতিবেদক, মালদা: বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। সচেতনতায় অগ্রণী ভূমিকা নিতে চলেছে স্কুলের পড়ুয়ারা। পাশাপাশি বাল্যবিবাহ এখনও পর্যন্ত হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকায় রোধ করা সম্ভব হয়নি। নিঃশব্দে বাল্যবিবাহ ঘটে চলেছে বলে অনেকেই ধারণা করছে। প্রায়ই সময় শোনা যায় বাল্যবিবাহের ঘটনা।
তাই ডেঙ্গুর পাশাপাশি বাল্যবিবাহ রোধ নিয়ে গ্রামে সচেতনায় নামে সংশ্লিষ্ট ব্লকের দৌলতনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। গম্ভীরার ও গান ম্যাজিক শোএর মাধ্যমে মাধ্যমে সচেতন করা হয়।
সম্প্রতি এই কর্মসচির উদ্বোধন করেন মালদা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মাধ্যমিক সুজিত সামন্ত। ছিলেন সংশ্লিষ্ট কোরিয়ালি চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম, আয়োজক স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষারত্ন মিহিরকুমার পাণ্ডে প্রমুখ। শোভাযাত্রার মাধ্যমেও এলাকায় সচেতনতা চালানো হয়। গ্রামের মানুষও এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যন্ত গ্রাম বলতে যা বোঝাই তা অনেকটা দৌলতনগর গ্রাম বলা যেতে পারে। ১৮ বছরের পরোয়া না করেই স্কুলে পড়তে পড়তেই বিয়ের খবর হামেশাই শোনা যায়।
সচেতন করেও কেউ কেউ সেই তিমিরেই রয়েছেন। এবার নতুনভাবে প্রচার চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামে মানুষের অসতর্কতায় বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপও। যেখানে-সেখানে আবর্জনার স্তূপ। জল জমে বিভিন্ন জায়গায়। প্রধান শিক্ষক মিহিরকুমার পাণ্ডে নারী শিক্ষার ওপর দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন।
তিনি জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে প্রচারের পরও এখনও বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব হয় নি। এবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সচেতনতায় নামার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্কুলে পড়ুয়াদের সচেতন করার পাশাপাশি গ্রামেও সচেতন করা হয়। এই ধরনের কর্মসূচি চলতে থাকবে। ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।’