পারিজাত মোল্লা: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠে সরকারি জমি সংক্রান্ত মামলা। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে -‘পড়ে থাকা সরকারি জমি জনস্বার্থেই ব্যবহার হওয়া উচিত ‘। হাওড়ার বেলুড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার পরিত্যক্ত জমিতে হাসপাতাল গড়তে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা ।
এদিন এই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘পড়ে থাকা সরকারি জমি বাণিজ্যিক সংস্থাকে বিক্রির পরিবর্তে তা জনস্বার্থে ব্যবহার হওয়া উচিত ।’আদালত সূত্রে প্রকাশ , -বেলুড়ে বন্ধ জিএসডব্লু কারখানার পাশে প্রায় ৩.৮৩ একর সরকারি জমি সংলগ্ন এলাকায় প্রান্তিক মানুষদের চিকিত্সার জন্য একটি হাসপাতাল তৈরি করেছে বেলুড় শ্রমজীবী স্বাস্থ্য প্রকল্প সমিতি।
আপাতত হাসপাতালটিতে ৬০ শয্যা রয়েছে। সেটি ৩০০ শয্যার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রূপে গড়ে তুলতে ওই সরকারি জমি চেয়ে আবেদন জানায় সমিতি। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে সেই আবেদনের নিষ্পত্তি হয়নি। রাজ্য প্রশাসনের উচ্চস্তর থেকে অনুমোদন মিলছে না বলে অভিযোগ।বিষয়টি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে সমিতির আইনজীবী বলেন, ‘ওই জমি হস্তান্তর করতে স্থানীয় প্রশাসনের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বিষয়টি আটকে রয়েছে প্রাশসনের উচ্চস্তরে।’বিষয়টি শোনার পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, -‘এব্যাপারে আদালত সরকারকে কোনও স্পষ্ট নির্দেশ দিতে পারে না।
বিষয়টি রাজ্য সরকারকেই বিবেচনা করতে হবে’। এরপরই পর্যবেক্ষণে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘পরিত্যক্ত ও সরকারি মালিকানায় থাকা জমি বাণিজ্যিক সংস্থাকে বিক্রির পরিবর্তে জনস্বার্থে ব্যবহার হওয়া উচিত।’ এরপরই এবিষয়ে বেলুড় শ্রমজীবী স্বাস্থ্য প্রকল্প সমিতির দেওয়া স্মারকলিপি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।এখন দেখার রাজ্য সরকার আদালতের এহেন পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে?