পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কথা ছিল একে অপরকে ভালোবাসে সারাজীবন কাটিয়ে দেবেন। সেই সম্পর্কের হাত ধরেই একত্রবাসের থাকার সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেই ভালোবাসাই জীবনে ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনল। লিভ-ইন সঙ্গিনীকে সন্দেহের বশে প্রেশার কুকার দিয়ে থেঁতলে খুন করে ফেললেন তার সঙ্গী। পুলিশি জেরায় সঙ্গিনীকে নৃশংস হত্যার কথা স্বীকার করেছেন যুবক। বেঙ্গালুরুর ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর বেগুরে একটি আবাসনে বিগত দুবছর ধরে ভাড়া থাকতেন দেবা ও বৈষ্ণব। বেঙ্গালুরু পুলিশ সোমবার বৈষ্ণবকে গ্রেফতার করে। ২৪ বছর বয়সী দেবার বাড়ি কেরলের তিরুবনন্তপুরমে, বৈষ্ণব কোল্লামারের বাসিন্দা।
বেঙ্গালুরু দক্ষিণ ডিসিপি সি কে বাবা জানান, তরুণ-তরুণী দুজনেই একই বাড়িতে দুই বছর ধরে বাস করছিলেন। দুজনেই কেরলের বাসিন্দা। উভয়েই সেলস ও মার্কেটিং পেশায় যুক্ত ছিলেন। কিছুদিন আগে, বৈষ্ণবের সন্দেহ হয়, দেবা অপর কোনও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। দুজনের মধ্যে এই নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। রবিবার অশান্তি চরমে ওঠে। এর পরেই রান্না হওয়ার সময় ভাত নামিয়ে রেখে সেই প্রেশারকুকার নিয়ে এসে দেবার ওপরে একের পর এক আঘাত করতে থাকে বৈষ্ণব। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দেবার। আবাসনের অন্য প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দুজনের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া অশান্তি লেগেই থাকত। পুলিশ সূত্রে খবর, দেবা ও বৈষ্ণবের দুজনের কলেজ থেকে পরিচয়। বৈষ্ণব স্থানীয় একটি মার্কেটিং ফার্মে কাজ করতেন। খুনের পরেই গা ঢাকা দেয় বৈষ্ণব। সোমবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর পুলিশের অনুমান খালি প্রেশার কুকার শোওয়ার ঘরে নিয়ে গিয়ে পিছন থেকে দেবাকে আঘাত করে ওই যুবক৷ একের পর এক আঘাতের জেরে ঘটনাস্থলেই মারা যান দেবা।
পুলিশি জেরায় বৈষ্ণব তার অপরাধ স্বীকার করে জানিয়েছে, বার বার বলা সত্ত্বেও দ্বিতীয় সম্পর্ক থেকে সরে আসেনি দেবা৷ অন্য কারওর সঙ্গে প্রেমিকার এই ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেনি সে।