পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মেয়ো রোডের সমাবেশ থেকে মমতা বলেন, রাজ্যপাল মনোনীতি আর মুখ্যমন্ত্রী মানুষের দ্বারা নির্বাচিত। রাজ্যপাল আর মুখ্যমন্ত্রী এক নন, পাঙ্গা নেবেন না। চেয়ারকে সম্মান করি, উনি চেয়ারের সম্মানকে লঙ্ঘন করি।
এদিন মমতা বলেন, আমি ছাত্র রাজনীতির প্রোডাক্ট। আমি দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতি করেছি। ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে আমি দুধের ডিপোতে কাজ করেছি। সেই টাকা আমি ব্যানার পোস্টার দরিদ্র লোকের জন্য খরচ করতাম। বিএ পার্ট ওয়ান পরীক্ষার দিন ডান হাতের বুড়ো আঙুল বোতলে খ্যাচ করে ঢুকে যায়। তাই নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছি। আমাদের কলেজ ছিল ছটা পনেরোয়। আমরা ভোর চারটেয় উঠতাম। আমার সঙ্গে লড়াইয়ে ছিল ডিএসও। ওরা অনেকে টানবার চেষ্টা করেছে। আমি কী করে যাব। আমার বাবা একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁর কাছে গল্প শুনে শুনে আমার মনটাই স্বাধীনতা আন্দোলনে জাগরিত হয়েছিল। তাই অন্য কোনও দলে যেতে পারিনি। হাজরায় মিছিল করার সময়, লোহার চেন দিয়ে আটকানো হয়, আমার মাথায় ডান্ডা দিয়ে মারা হয়।
হাজরায় মিছিল করার সময়, লোহার চেন দিয়ে আটকানো হয়, আমার মাথায় ডান্ডা দিয়ে মারা হয়। আমি জিন্দা লাশ হয়ে বেঁচে আছি। সেদিন আমার সঙ্গে যারা ছিলেন সকলে মারা গিয়েছে। প্রথমে ডান্ডা মারল তখন আমার লাগেনি। আমি ভাবছি পুলিশের ডান্ডা পেল কোথা থেকে। এরপর তৃতীয়বার মাথায় মারল। এত মেরেছে আমার হাত থেঁতলে গিয়েছিল। রটে গিয়েছিল আমি মারা গিয়েছ। পার্লামেন্ট অ্যাডজর্ন হয়ে যায়। একুশে জুলাই কোমরে পেরেছে। আমার চোখে অসুবিধা হয়। সারা শরীর আমার ভগ্ন। আমি জিন্দা লাশ হয়ে বেঁচে রয়েছি। সেই সময় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম সিপিএম-কে সরাব, আজ আমার লড়াই বিজেপিকে দিল্লি থেকে সরাবো।
মমতা হুঙ্কার দিয়ে বলেন, গুলি চালাও আমি কেয়ার করি না।