নাজমুল সর্দার, দক্ষিণ দিনাজপুর: গরু-মহিষ-লাঙ্গল-মই-জোয়াল দিয়ে জমি চাষ বতর্মান গ্রামীণ সমাজ যান্ত্রিকতার আধিপত্যে এখন বিলুপ্তির পথে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বিজ্ঞানও ক্রমশই এগিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানের সেই অগ্রযাত্রা, আধুনিকতার ছোঁয়ায় থেমে নেই ঐতিহ্যবাহী কৃষি ভিত্তিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও। জমি চাষের জন্য ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার এছাড়াও অন্যান্য নতুন যন্ত্রপাতি আবিষ্কার হয়েছে। ফলে বিজ্ঞানের এই আশীর্বাদে গ্রামীণ কৃষিজীবী মানুষেরা দিনের বেলায় যে কোন সময় ইচ্ছেমতো ট্রাক্টর কিংবা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ-আবাদ অনায়াসে করতে পারে। তাই রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও আগের মতো অতিমাত্রায় গরু-মহিষ-লাঙ্গল-মই-জোয়াল দিয়ে জমি চাষ প্রায় হয়না বললেই চলে।
কুমারগঞ্জ ব্লকের কৃষক গোলাম সরকার, মোক্তার আলম নামের দুই কৃষক দুঃখের সঙ্গে বলেন, “গরু-মহিষ-লাঙ্গল-জোয়াল-মই ছিল হাল চাষের আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি। সেই ঐতিহ্যও আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে। কিন্তু এখনো কিছু কৃষক পূর্বপুরুষদের এই ধারা বজায় রেখে গরু-মহিষ দিয়ে জমি চাষের এই পদ্ধতি টিকিয়ে রেখেছেন।” অপরদিকে মাঝিয়ান কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের সিনিয়র বিজ্ঞানী শিবানন্দ সিংহ জানান, “কৃষকরা স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা অর্জন করছে, এই আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ছোঁয়ায়।”