রেজাউল করিম, মোথাবাড়ি: মিজোরামের দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে রয়েছেন কালিয়াচক-২ ব্লকের জাহিদুল শেখ। তার বাড়ি মোথাবাড়ি থানার পঞ্চানন্দপুর-১ গ্রামপঞ্চায়েতের লসকরিটোলা গ্রামে। বুধবার সকালে মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছতেই গোটা গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। এখন ওই বাড়িতে শুধু বুকফাটা কান্নার আওয়াজ। তিনি আর ফিরবেন না, ফিরবে তাঁর অসাড় দেহ। অসহায় হয়ে পড়েছে গোটা পরিবার। মায়ের মুখে দুর্ঘটনার খবর শুনে একরত্তি ৫ বছরের একমাত্র অবুঝ শিশুটিও কেঁদে চলেছে আব্বার জন্য। মাঝে মধ্যেই মাকে প্রশ্ন করছে, আব্বার কী হয়েছে,সন্তানকে সেই উত্তর দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই জননীও।
পঞ্চানন্দপুরের গঙ্গা তীরবর্তী গ্রাম লসকরিটোলা। অনেক শ্রমিক এখান থেকে ভিন রাজ্যে কাজে যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল বেরনোর পরের দিনই মিজোরামে কাজে যান জাহিদুল। কিছুদিনের মধ্যেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। এ দিন সকালে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর পেয়ে গোটা গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাঁর এক ভাই শহিদুর রহমান মুম্বইয়ে কাজে রয়েছেন। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মুম্বই থেকে আসছেন। জাহিদুলের স্ত্রী রেজিনা বিবি ও ৫ বছরের পুত্রসন্তানকে নিয়ে তাঁর সংসার। এ দিন সকালে জাহিদুলের সঙ্গে মিজোরামে কাজ করতে যাওয়া সেখানকার শ্রমিকরা জাহিদুল শেখের মৃতদেহ শনাক্ত করে খবর পাঠান।
জাহিদুলের স্ত্রী রেজিনা বিবি জানান, স্বামীর মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। এক মুহূর্তেই সব পালটে গেল। কিছুদিনের মধ্যে ওর বাড়ি আসার কথা ছিল। ফোনে কথা বলে কোথায় কোথায় ঘুরতে যাব, তারও কর্মসূচিও ঠিক হয়। এখন ছেলেকে নিয়ে কোথায় যাব, কিছুই বুঝতে পারছি না?