কৌশিক সালুই, বীরভূম:- ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার ডেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায়। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও খুনের কারণ বা আততায়ীকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। নিহত ব্যবসায়ী মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ী হলেন তাপস দাস বয়স ৩৫ বছর বাড়ি কাপিস্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের কেন্দ্রসরাইল গ্রাম। গত সোমবার বিকেলে শালডাঙ্গা পাথর খাদান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেরেন্ডা গ্রাম ঢোকার মুখে চাষের জমি থেকে কাদামাখা অবস্থায় উদ্ধার করে। সেই সময় তার মোটর বাইকটি মাঝ রাস্তায় স্টার্ট অবস্থায় দাঁড় করানো ছিল। স্থানীয় মানুষজন সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক অবস্থায় উদ্ধারকারী স্থানীয় মানুষজন ও পরিবার ভেবেছিল হয়তো দুর্ঘটনা ঘটেছিল কিন্তু সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা লক্ষ্য করেন যে কাঁধে এবং কোমরে মোট তিনটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। এমত অবস্থায় সকলের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় আততায়ীর সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়েছিল গুলি করার সময়। ঘটনার সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ছ টা থেকে সাতটার মধ্যে। পুলিশ থেকে পরিবার খুনের কারণ নিয়ে ধন্দে সকলেই। তাপস দাসের পাথর খাদান ছিল পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতে বড় হার্ডওয়ার, ইলেকট্রিক, গ্রোসারী প্রভৃতি ব্যবসাও ছিল।
ঘটনার পর মহম্মদ বাজার থানার পুলিশ আধিকারিক, সদর সার্কেল ইন্সপেক্টর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সকলে তদন্তে নামে। পরিবারের পক্ষ থেকে ভাই উজ্জ্বল দাস মহ:বাজার থানায় খুনের একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হয় এবং পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখার্জি বলেন,” এখনও পর্যন্ত কোনও দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়নি। কি কারণে খুন হয়েছে সেটাও পরিষ্কার নয় তবে খুব দ্রুত ঘটনার কিনারা করা হবে”।