আবদুল ওদুদ: স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবাংলায় পালা বদল করে সিপিএম-কংগ্রেস দীর্ঘকাল শাসন ক্ষমতায় থেকেছে। প্রতি বছর ভোট এলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছে।
প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন কতটা বাস্তব সম্মত তা বিশ্লেষণ করলেই সামনে আসে কতটা ভালো অবস্থায় আছেন রাজ্যের সংখ্যালঘুরা। ২০১১ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ৬৫ হাজার ইমাম-মুয়াজ্জিনকে ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেন। তার পর থেকেই এখন পর্যন্ত ইমামরা সেই ভাতা পেয়ে আসছেন।
গত কয়েক বছরে সংখ্যালঘু উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর তা অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে। সংখ্যালঘু খাতে বাজেট বরাদ্দ ৪০০ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ছুঁয়েছে। স্বাধীনতার পর পশ্চিমবাংলায় কোনও সরকার এত বিপুল পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ করেনি। এমন কি কেন্দ্রের বরাদ্দ থেকেও বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে মমতা সরকার।
সংখ্যালঘু বিষয়ে আজ সোমবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম মুয়াজ্জিন সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। বেলা ২ টায় শুরু হবে এই সমাবেশ।
রাজ্যের ইমামরা প্রধান অতিথি হিসেবে এই সমাবেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কলকাতা পুরসভার মহানাগরিক তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকেই কয়েক হাজার ইমাম নেতাজি ইন্ডোরের সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জেলায় এই সমাবেশ ঘিরে প্রস্তুতি চলেছে চূড়ান্ত পর্যায়ে।
কলকাতায় একাধিক প্রস্তুতি বৈঠকের আয়োজন করেন মাওলানা শফিক কাসেমী। জেলা থেকে আগত ইমামদের ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতা এবং আশপাশের জেলাগুলি থেকে ইমামরা ট্রেনেও আসবেন। তবে যাদের ট্রেন যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই তাঁদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি জেলার ইমামরা নিজেদের উদ্যোগেই বাসে করে আসার ব্যবস্থা করেছেন।
২০২৪-এ দেশের লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। এই লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের জন্য কী বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিকে আজ তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যবাসী।