পুবের কলম প্রতিবেদক: ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রসে সরকার। তারপর শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, কৃষি থেকে অর্থ সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নের চেষ্টা চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উন্নয়ন কাজ দেখে খুশি হয়ে বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে রাজ্যে ২৫০০ কোটি টাকা আসতে চলেছে।
সাধারণত বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে হলে আবেদন জানাতে হয়। কিন্তু ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটতে চলেছে বাংলার ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে। এ রাজ্যের শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে। পরিকাঠামো সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলা অনেক অনুকূল জায়গা সেই সম্ভাবনা দেখেই বিশ্বব্যাঙ্ক বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করতে চলেছে। বিশ্বব্যাঙ্কের আধিকারিকরা নিজে থেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাকে ঋণ দিতে চেয়েছে বলে জানা গেছে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে দ্রুত বিশ্বব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসছে বলে সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে যে টাকা পাওয়া যাবে, সেই টাকাপরিকাঠামো সহ পণ্য মজুত, পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যয় করা হবে। মূলত শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে এমন জায়গাতে উন্নত রাস্তা ও পরিকাঠামো খাতে জোর দেওয়া হবে। লজিস্টিকস হাবেও নজর দেওয়া হচ্ছে। লজিস্টিকসে যে সকল মানুষ কাজে যুক্ত রয়েছেন তাঁদের প্রশিক্ষনেরও ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ হলে কমেবেশি ৫০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে বলে জানা গেছে।
নদিয়া জেলার হরিণঘাটায় লজিস্টিকস হাবে ১১ হাজার মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। জানা যাচ্ছে দুর্গা পুজোর পর রাজ্যে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হবে। সেখানে দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত থাকবেন। তার আগে বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রাপ্তি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এমনই মনে করা হচ্ছে। মূলত আগামী দিনে রাজ্যের উৎপাদন ও পণ্যের চাহিদা বাড়বে এতে।
চা, গয়না, পোশাক সহ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প কিংবা সামুদ্রিক পণ্যের সঙ্গে যুক্ত শিল্প আরও এগিয়ে যেতে পারে। সূত্রের খবর, লোনের পাওয়ার বিষয়ে ২০১৯ সালে রাজ্যের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে বিশ্বব্যাঙ্কের কথা হয়। কিন্তু কোভিডের কারণে বিষয়টি পিছিয়ে যায়। যে কোনও শিল্পের জন্য অনুকূল পরিবেশ দরকার হয়। সেই নিরিখে ভৌগোলিকভাবে বাংলা এমন জায়গায় অবস্থান করছে। যেখানে পণ্য সরবরাহের সুবিধা রয়েছে। বাংলায় নির্বিঘ্নে শিল্প গড়া যায়। বাংলার শিল্পে বাইরে থেকে বিনিয়োগ হচ্ছে। এরই মাঝে বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণ প্রদান গুরুত্বপূর্ণ।