দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: যৌথ মঞ্চ গড়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার পরিকল্পনা। এই আন্দোলনে পড়ুয়ারা ছাড়াও অধ্যাপকদের একটা বড় অংশ, স্থানীয় ব্যবসায়ী সমাজ, হস্তশিল্পীদের সংগঠন, বিশ্বভারতীর আলাপিনী মহিলা সমিতি সহ বেশ কিছু সংগঠন যোগ দিতে চলেছে।
এদিনও উপাচার্যের সরকারি আবাসন পূর্বিতার সামনে শিক্ষক দিবসে দেওয়া পড়ুয়াদের পুষ্পস্তবক মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
অবস্থান মঞ্চে আন্দোলনরত ছাত্রীর অনশন ২৪ ঘন্টা পেরলো। তার মধ্যে বিশ্বভারতীকে বাঁচানোর আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠালো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন।
রবিবার থেকে বিশ্বভারতীর আন্দোলন মঞ্চ অনুসরণ করছে বহিস্কৃত পড়ুয়া রুপা চক্রবর্তী। তার অনশন ২৪ ঘন্টা পেরোলো। এই মুহূর্তে অনশন প্রত্যাহারের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে ওই পড়ুয়া। যতদিন না তাদের দাবি পূরণ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই অনশন চলবে বলেই জানিয়েছে।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে কোন নিয়োগ হয়নি। সহ উপাচার্য, রেজিস্টার, ফিন্যন্স অফিসার সহ বহু পদ ফাঁকা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অধ্যাপক সংগঠন ভিবিউফা অভিযোগ করেছে যে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে উপাচার্যের খারাপ ব্যবহারের দরুন বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ভুল ধারণা মানুষের মধ্যে গেঁথে গেছে। তাই বিশ্বভারতী মতো ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিমা ফেরাতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।