পারিজাত মোল্লা: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে কার্যত খারিজ হলো সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ। দীর্ঘদিন প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। জামিনের আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তবে এদিন অনেকটা স্বস্তি মিলল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে। তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ও জরিমানা দেওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা খারিজ হয়ে গেল ডিভিশন বেঞ্চে।
গত জানুয়ারি মাসে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্যের দেশ ও বিদেশের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে মানিককে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক।
বৃহস্পতিবার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।প্রসঙ্গত, সহিলা পারভিন নামে এক টেট পরীক্ষার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় তাঁর ওএমআর শিট চেয়েও পাননি তিনি। নির্ধারিত টাকাও দিয়েছিলেন তিনি। সেই মামলাতেই মানিক ভট্টাচার্যকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আর একটি মামলায় অভিযোগ ছিল, ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা দেওয়ার ৬ বছর পরও ফলাফল জানতে পারেননি এক চাকরি প্রার্থী।
ফলে পরবর্তী নিয়োগের পরীক্ষাতেও বসতে পারেননি তিনি। সেই সময় পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। এই মামলায় তাই তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
এই দুই নির্দেশই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, -‘মানিককে জরিমানা দিতে হবে না। তাঁর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করার প্রয়োজন নেই। তবে মামলাকারীকে তাঁর চাহিদা অনুযায়ী সমস্ত তথ্য দিতে হবে পর্ষদকে। ওএমআর শিট-সহ আর যা যা তিনি দেখতে চেয়েছিলেন, সঠিক ভাবে সেই নথি দেখাতে হবে। তবে ডিজিটাল মাধ্যমে এই তথ্য দেখাতে পারবে পর্ষদ’।