শ্রীনগর: কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ সরকার শনিবার একটি আদেশ জারি করেছে ‘লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বাসিন্দা’ হওয়ার নীতি নিয়ে৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, আগের ডোমিসাইল নীতিই চলবে সেখানে৷ ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ হয়৷ তারপর জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সৃষ্টি করা হয়৷ জম্মু-কাশ্মীরের ডোমিসাইল নীতি নমনীয় করা হয়েছে৷ উপত্যকার বাইরের বাসিন্দাদের জন্য সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার শর্ত লঘু হয়েছে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত লাদাখের ডোমিসাইল নীতিতে তেমন কোনও পরিবর্তন আসছে না৷ এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি অমুসলিম-প্রধান৷ মূলত বৌদ্ধদের বসবাস রয়েছে৷
লাদাখ রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট অর্ডার ২০২১ অনুসারে, লেহ ও কার্গিল জেলায় প্রশাসনের ইস্যু করা স্থায়ী আবাসিক সার্টিফিকেটধারী ব্যক্তি অথবা যে ব্যক্তি স্থায়ী আবাসিক সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্য তিনি লেহ ও কার্গিল জেলার রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন৷ লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন কোনও বিভাগ বা প্রশাসনের পরিষেবায় সমস্ত অ-গেজেটেড পদে নিয়োগের উদ্দেশ্যে সাময়িকভাবে ‘লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বাসিন্দা’ নির্ধারণের আদেশ জারি করেছে। আদেশে বলা হয়েছে যে স্থায়ী আবাসিক শংসাপত্রের অধিকারী ব্যক্তিদের সন্তান বা এমন শ্রেণীর ব্যক্তিদের সন্তান যারা লেহ এবং কার্গিল জেলার স্থায়ী আবাসিক সার্টিফিকেট পাবার যোগ্য, তারা এতে উৎরে যাবে৷
তবে জম্মু-কাশ্মীরে সরকার কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই একতরফা ভাবে বহিরাগতদের ডোমিসাইল সার্টিফিকেট দেবার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতিমধ্যে তার বাস্তবায়নও শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এতে বহিরাগতরাই সুবিধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন৷ ক্ষতি প্রকৃত কাশ্মীরি জনতার৷ প্রকৃত কাশ্মীরিদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংহতি ও মৌলিক অধিকার বজায় রাখতে এই ব্যাপারটি বন্ধ করা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ নয়া ডোমিসাইল আইন জম্মু-কাশ্মীরের প্রকৃত বাসিন্দাদের অস্তিত্ব ও পরিচিতিকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে৷ জম্মু-কাশ্মীরের এই আইনে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি ন্যুনতম ১৫ বছর জম্মু-কাশ্মীরে বসবাস করে থাকেন, তবে তিনি সেখানকার স্থায়ী নাগরিক হয়ে যাবেন অর্থাৎ তাকে সেখানকার ডোমিসাইল বলে গণ্য করা হবে৷ লাদাখ কিন্তু কৌশল করে পুরনো নীতিই বহাল রাখল৷